ওষুধ অ্যাপ কোম্পানির ১৫কোটি টাকা প্রতারণা ডেলিভারি সংস্থার, গ্রেপ্তার ৩

বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- ১৫ কোটি টাকার প্রতারণার মামলার তদন্তে নেমে মুল অভিযুক্ত তারকনাথ ভট্টাচার্য এবং তার দুই বান্ধবী সহ মোট তিনজনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। এছাড়া সাড়ে চারকোটি এখনো পর্যন্ত বাজেয়াপ্ত করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বারুইপুর পুলিশ জেলার পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি।

পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গত ২২ ফেব্রুয়ারিতে ২০২৫ সালে সস্তা সুন্দর নামে একটি সংস্থার পক্ষ থেকে বারুইপুর থানায় অভিযোগ দায়ের করা হয়। তাদের অভিযোগ তারা থার্ড পার্টি এজেন্সি এসবি সিকিউরিটি অ্যান্ড সার্ভিসেস এর মাধ্যমে মেডিকেল সাপ্লাই করতেন। যারা সস্তা সুন্দরের হয়ে বাড়ি বাড়ি মেডিসিন ডেলিভারি দিত। মেডিসিন বিক্রির টাকা সস্তা সুন্দরের অ্যাকাউন্টে জমা করার কথা। কিন্তু ২ বছর ধরে সেই টাকা জমা করা হচ্ছিল না। আনুমানিক ১৫ কোটি টাকা মূল্যের মাল বিক্রি করেছে বলে অভিযোগ। ঘটনার তদন্তে নেমে প্রথমেই তারকনাথ ভট্টাচার্য কে গ্রেফতার করে পুলিশ। উদ্ধার হয় ৩টি দামী চারচাকা গাড়ি, ৪টি ফ্ল্যাট, ১২টি বাইক , লিজে নেওয়া একটি দোকান, এছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় তল্লাশি চালিয়ে এখন পর্যন্ত আনুমানিক সাড়ে চার কোটি টাকার উদ্ধার হয়েছে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গেছে।সেই সঙ্গে জানা গেছে,তারককে জিজ্ঞাসাবাদ করে ১৪ই জুন পম্পা মিস্ত্রিকে গ্রেফতার করা হয়।

তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করে জানা যায় এই টাকা থেকে সোনা কেনা হয়েছে। আনুমানিক ১কোটি টাকার উপর সোনার গহনা বাজেয়াপ্ত করা হয়। মোট ১৫ কোটি টাকার প্রতারণা হয়েছে। এখনও পর্যন্ত সব মিলিয়ে পুলিশ সাড়ে চারকোটি টাকার মালপত্র বাজেয়াপ্ত করছে। মুল অভিযুক্ত তারকনাথ ভট্টাচার্য সহ তার দুই বান্ধবী গ্রেফতার করা হয়েছে। তারমধ্যে একজন শতরুপা সরকার কে গল্ফগ্রীন এলাকা থেকে গ্রেফতার করা হয়। আরেক বান্ধবী পম্পা মিস্ত্রি নিমতা থেকে গ্রেফতার করা হয় যিনি কোম্পানীর হিসাবরক্ষক ছিলেন বলে জানা গেছে।

এদিন সাংবাদিক বৈঠকে পুলিশ সুপার পলাশ চন্দ্র ঢালি জানান, ‘অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ চালানো হচ্ছে।তাদের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রুজু হয়েছে।প্রতারিত ব্যক্তির সম্পূর্ণ টাকা আমরা উদ্ধার করার চেষ্টা চালাচ্ছি”।