
বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:-দেশের যুদ্ধ পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। পাকিস্তানের বিরুদ্ধে ‘অপারেশন সিন্দুর’ করে পায়েলগাওর যোগ্য জবাব দিয়েছে ভারত ।তবে তলে তলে হামলার ছক করছে পাকিস্তান। এখন যুদ্ধ যে কোন মুহূর্তে লেগে যেতে পারে। আর এর ফলেই বাড়তে পারে নিত্য প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের দাম। এর জেরে প্রভাব পড়তে পারে নিম্ন মধ্যবিত্ত ,মধ্যবিত্ত, সাধারণ মানুষের।কারণ এই সুযোগকে কাজে লাগিয়ে কিছু অসাদু ব্যবসায়ী কৃত্রিম অভাব তৈরি করে অতিরিক্ত টাকা লাভ করতে চেষ্টা করবে। তবে সে সুযোগ এর আগেই কড়া বার্তা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
বৃহস্পতিবার নবান্নে ব্যবসায়ী এবংটাস্কফোর্সের সঙ্গে বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী। পরে সাংবাদিক সম্মেলন করেন তিনি। আর সেখানেই শাক সবজি মাছের দাম বেড়ে যাওয়া নিয়ে খোভ প্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।“আলু পিঁয়াজের দাম যেন আর না বাড়ে ।গত বছর থেকে এখন দাম কম আছে। কিন্তু আদার দাম এত বেশি কেন? আদা আমরা উৎপাদন করতে কি পারিনা? সেই জায়গা দেখা হোক। সুফল বাংলা ভালো কাজ করছে। আরো ১০০ আউটলেট হবে। বাজারের থেকে কম দামে সুফল বাংলা দিচ্ছে সবজি কিন্তু বাজারে যেন দাম না বাড়ে এটা দেখতে হবে। শশার দাম বাড়ছে কেন? একটা ভালো করে দেখতে হবে। রাজ্য সরকারের দ্রব্যমূল্য নিয়ন্ত্রণে রাখতে একটি টাস্ক ফোর্স আছে। নবান্নে মুখ্যমন্ত্রীর বৈঠকে যোগ দিতে এদিন টাস্কফোর্সের সদস্যরা আসেন। সেই সঙ্গে একাধিক ব্যবসায়ী সংগঠনের প্রতিনিধিরা বৈঠকে যোগ দিয়েছিলেন। এই বৈঠকে প্রশাসন ও পুলিশের শীর্ষকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সেখানে মুখ্যমন্ত্রীর বক্তব্য দেশের বর্তমান পরিস্থিতিতে কেউ যেন কালোবাজারি না করে।বেশি টাকার লোভে যেন সীমান্ত পেরিয়ে সবজি না যেতে পারে। হিমঘরে যে পরিমাণ আলু আছে তা চাহিদা থেকে অনেক বেশি। মুরগির মাংসের দাম বেশি আছে। হাঁসের মাংস পাওয়ার জন্য পোলট্রি করে দিয়েছি। সেই মাংস যাচ্ছে কোথায়? সেই মাংস বাজারে নিয়ে আসুন। প্রতিযোগিতায় নিয়ে এলে তবেই দাম কমবে”। দেশের এই গৌরব মুহূর্তে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী যুদ্ধের জিগির তুলে অত্যাবশ্যকীয় নানা পণ্য, খাদ্য সামগ্রিক দাম বাড়িয়ে মোটা মুনাফা করার চেষ্টা করলে কড়া পদক্ষেপ করা হবে বলে স্পস্ট ভাষায় জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, “এবছর আরো ১৩০০ পেঁয়াজ গোলা নির্মাণের অনুমতি দিয়েছি। সুফল বাংলা বিক্রি করবে। মাছ, মাংসের দাম কমাতে হবে। মাছের দাম কেন কমছে না। মাছ উৎপাদন যেভাবে করা উচিত ছিল সেভাবে করছে না। আড়াই বছরে কি করেছেন? আমাকে বিস্তারিত জানান। যখন কোন বদলির নির্দেশ দেওয়া হচ্ছে তখন তাতে হস্তক্ষেপ করা যাবে না। চোখ থাকতেও তাকিয়ে দেখেন না। পলিসি হবার পরে ডিএমরা কি করছে? সেটা দেখতে হবে। সরকার সিদ্ধান্ত নেওয়ার পরে কেন তা করা হচ্ছে না। সাত দিনের মধ্যে রিপোর্ট চাই”। পাশাপাশি এই জরুরী বৈঠক থেকে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ দেন, “অনেক জায়গায় সুফল বাংলার আউটলেটে মাছ বিক্রি হয় সুলভে। মাছও সুফল বাংলায় বিক্রি করতে হবে। যোগান দেওয়ার দায়িত্ব ও মৎস্য দপ্তরের। যার কোটি কোটি টাকা আছে তাদের কোন সমস্যা হয় না। গরিব মানুষ, মধ্যবিত্ত মানুষ কোথায় যাবে? তাদের জন্য ব্যবস্থা করতে হবে। কেউ কালোবাজারি করলে সরকার সব বাজেয়াপ্ত করবে। তার জন্য ট্রান্সফরসে কে নজরদারি করতে হবে। পরের বছর নির্বাচন আছে বলে দাম বাড়িয়ে দিলেন। সেটা আমরা বরদাস্ত করব না”।

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:- ৯১৫৩০৪৩৩৮০