
বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- ২৪ ঘন্টার মধ্যেই স্বস্তির নিঃশ্বাস ফেললো কুলতলির দেউলবাড়ী এলাকার বাসিন্দারা। ছাগলের টোপ দিয়েই বাজিমাত করল বনদপ্তর। ভোর রাতে বাঘের তীব্র গর্জনে ঘুম ভেঙে সাহস করে রাতে আর কৈউ বাঘ দেখতে না বেরলেও ভোরের আলো ফোটার সঙ্গে সঙ্গে ক্রমশ খবর চাউর হয় খাঁচায়বন্দী হয়েছে বাঘ।ততক্ষণে কালো প্লাস্টিক ত্রিপলে ঢেকে দেওয়া হয় খাঁচাটি।
বনদপ্তর এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার সকালে কুলতলির দেউলবাড়ী এলাকায়। রাস্তার পাশের জমিতে ভোর সকালে বাঘের পায়ের ছাপ দেখতে পান এলাকার বেশ কয়েক জন বাসিন্দারা ।এরপরই খবর দেওয়া হয় স্থানীয় বনদপ্তরকে। ঘটনার খবর পেয়েই বনদপ্তরের কর্মীরা ওই বাঘের পায়ের ছাপ দেখে তাঁদের মধ্যে অভিজ্ঞ বন কর্মীরা আগেই অনুমান করেছিলেন গ্রামের খুব কাছেই ঝোপ-জঙ্গলের মধ্যেই কোথাও ঘাপটি মেরে আছে বাঘ ।এরপরই বাসিন্দাদের নিরাপত্তার কথা মাথায় রেখে পুরো এলাকাটা জাল দিয়ে ঘিরে ফেলা হয়। পরে বনদপ্তরের পক্ষ থেকে পাতা হয় খাঁচা, তাতে টোপ হিসাবে ব্যবহার করা হয় ছাগল। শেষমেষ রাত তিনটে নাগাদ হঠাৎই প্রচন্ড জোরে খাঁচার গেট পড়ার শব্দ সেই সঙ্গে খাঁচা বন্দি বাঘের তীব্র গর্জন শুনে ওই এলাকায় দায়িত্বে থাকা বনকর্মীরা নিশ্চিত হন খাঁচাবন্দী হয়েছে বাঘ। তবে সেই গর্জনের তীব্রতায় এলাকায় আতঙ্কে থাকা মানুষজনের বুঝতে অসুবিধা হয়নি খাঁচাবন্দী হয়েছে বাঘ।
এবিষয় এক বন কর্মী জানান, রাতে খাঁচা বন্দি হওয়ার পর বাঘটিকে উদ্ধার করে সুন্দরবনের ঝড়খালিতে নিয়ে যাওয়া হবে এবং তার পরীক্ষা-নিরীক্ষার করার পর পুনরায় বাঘটিকে গভীর জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয়। শেষ পাওয়া খবর পর্যন্ত আজ সুন্দরবনের জঙ্গলে ছেড়ে দেওয়া হয় বাঘটিকে।

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:- ৯১৫৩০৪৩৩৮০