ফুটবলার পিকে ব্যানার্জীর বাড়িতে খুন ? ছুরি দিয়ে কোপ ! গ্রেপ্তার গাড়ির চালক

তোতন দাস,বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- ভারতের জাতীয় ফুটবল দলের প্রাক্তন অধিনায়ক প্রদীপ কুমার বন্দ্যোপাধ্যায়।তিনি পিকে বন্দ্যোপাধ্যায় নামে পরিচিত।তাঁর বাড়িতে খুনের ঘটনা। বাড়ির পরিচারকের দেহ উদ্ধার ঘিরে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। পুলিশের প্রাথমিক অনুমান, পরিচারক ও গাড়ি চালকের মধ্যে বচসাকে কেন্দ্র করে এই খুনের ঘটনা। খুনের অভিযোগে অভিযুক্ত গাড়ি চালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে,সল্টলেকের জিডি পার্ক এলাকায় পিকে বন্দ্যোপাধ্যায়ের বাড়ি। তিনি ও তার স্ত্রীর অবর্তমানে সেই বাড়িতে থাকেন তাঁর মেয়ে। শুক্রবার দোলের দিন রাতে বাড়িতে গাড়ির চালক বরুন ঘোষ এবং পরিচারক গোপীনাথ মুহুরী মদের আসর বসায় বলে অভিযোগ।আর সেখানে দুজনের মধ্যে দুজনের মধ্যে ব্যাপক বচসা শুরু হয়।

পুলিশ প্রাথমিক তদন্তে জানতে পেরেছে, বচসা চলাকালীন বরুণ ঘোষ রান্না ঘরে চলে যায়। এরপর সেখান থেকে চুরি নিয়ে এসে পরিচারক গোপীনাথকে কোপাতে থাকে বলে অভিযোগ। রক্তাক্ত অবস্থায় গোপীনাথকে উদ্ধার করে নিয়ে যাওয়া হয় স্থানীয় হাসপাতালে ।সেখানে চিকিৎসকেরা তাঁকে মৃত করে ঘোষণা করে। খুনের খবর পাওয়ার পরেই ঘটনাস্থলে আসে পুলিশ। মৃতদেহ উদ্ধার করে ময়না তদন্তে পাঠায়। তদন্তে নেমে পুলিশ গাড়ি চালক বরুন ঘোষকে গ্রেফতার করে।শুধুই কি মদ খাওয়া নিয়ে গন্ডগোল না এর পিছনে আছে অন্য কোন কারণ সে বিষয়গুলি খতিয়ে দেখছি অভিজ্ঞ তদন্তকারীরা। ঘটনাস্থলের জায়গাটি ঘিরে রেখেছে পুলিশ। সেখানে ফরেন্সিক বিশেষজ্ঞরা পৌঁছে নমুনা সংগ্রহের পাশাপাশি ঘটনার তদন্ত শুরু হয়েছে । এদিকে আজ গাড়ির চালক বরুন ঘোষকে আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে, খুন কে করল এ প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে বরুন ঘোষ বলেন, ‘আমি উপড়ে যাইনা। গোপীনাথ রান্না ঘর থেকে ছুরি নিয়ে এসে ওআমার গলায় মারে’।এমনই চাঞ্চল্যকর অভিযোগ করেন।পাশাপাশি জানা গেছে,সম্প্রতি পিকে ব্যানার্জীর মেয়ের ব্যাগে ৫হাজার টাকা চুরি হয়েছিল।সেই নিয়েই গাড়ির চালক এবং পরিচারক গোপীনাথ মুহুরীর মধ্যে তীব্র বচসা হয়।তবে খুনের আসল কারন ঠিক কি, তৃতীয় কোন ব্যাক্তির উপস্থিতি ছিল কিনা ,কি দিয়ে খুন করা হয়েছে, এমন বিস্তর প্রশ্ন গুলির উত্তর খুঁজছেন তদন্তকারীরা। তবে অভিযুক্তকে হেপাজতে নেওয়ার পরই দফায় দফায় জেরার মাধ্যমে তদন্তকারীরা পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখতে চাইছেন বলেন মনে করছেন অভিজ্ঞ তদন্তকারীরা।