বাড়িতে অভাব,দারিদ্র্যকে তুড়ি মেরে সিভিল সার্ভিসে প্রথম ডায়মণ্ডহারবারের প্রিয়তোষ

সংগৃহীত ছবি -সৌজন্যে ফেসবুক

তোতন দাস, বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- ছোটবেলা থেকেই মেধাবী ছাত্র। পড়াশুনার প্রতি অদম্য জেদ। চরম দারিদ্র্যতাকে উপেক্ষা করে নিজেকে গড়ে তুলতে লড়াই চালিয়ে গিয়েছেন প্রিয়তোষ ।সংসারে চরম দারিদ্রতা। অভাব অনটন যাঁর নৃত্য সঙ্গী। তবে এত কষ্টের পরে এলো সাফল্য।সেরার সেরা।
ডাবলু বি সি এস এক্সিকিউটিব এ প্রথম স্থান অধিকার করলেন ডায়মন্ড হারবার পৌর এলাকার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা প্রিয়তোষ পিপলাই ।এই খবর চাউর হতেই সকাল থেকে তাঁর বাড়িতে উপচে পড়েছে ভীড়। আত্মীয় স্বজনরা প্রতীবেশীরা এসে শুভেচ্ছা জানাচ্ছনেন। যদিও প্রিয়তোষ বাড়িতে নেই। বর্তমানে কোলকাতার বেলেঘাটায় আছেন বলে জানা গেছে।তাঁর প্রতিবেশী শিক্ষক এবং ডায়মন্ড হারবার পৌরসভার ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্বপন দাস জানান , আগে ডায়মন্ড হারবার পৌরসভার ১০নং নম্বর ওয়ার্ডে থানার কাছে ভাড়ায় থাকতো। পরে ৯ নম্বর ওয়ার্ডের বিদ্যাসাগর পল্লীতে মায়ের সঙ্গে ভাড়া বাড়িতে থাকে বছর ২৯ এর প্রিয়তোষ । মাত্র পাঁচ বছর বয়স যখন তাঁর। তখন বাবা তপন পিপলাই মারা যান ।চরম অর্থাভাবে ও খুব কষ্টের মধ্যে নিজের সন্তানকে প্রতিষ্ঠিত করার লক্ষ্যে জীবন সংগ্রাম শুরু করেন তাঁর মা মৌসুম দেবী। গৃহ শিক্ষকতা করেই কোনক্রমে সন্তানকে পড়াশোনা করানোর পাশাপাশি সংসার চালান।২০২১ সালে ডাব্লিউ বিসিএস দিয়ে গ্রুপ সি তে জায়গা করে নেন প্রিয়তোষ।
জানা গেছে, ২০২৪ সালে এসিস্ট্যান্ট কমার্শিয়াল ট্যাক্স অফিসার হিসেবে কোলকাতা বেলেঘাটায় কর্মরত ।২০২২ সালে পুনরায় সিভিল সার্ভিস পরীক্ষা দেন। সম্প্রতি তার ফল প্রকাশিত হয়েছে আর সেখানেই বড় সাফল্য। তিনি ডায়মন্ড হারবার সরিষার রামকৃষ্ণ মিশন শিক্ষা মন্দির থেকে মাধ্যমিক পাশ করেন।পরে ওই স্কুলে বিজ্ঞান বিভাগের উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন।সেই সঙ্গে ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ারিং ও পাস করে।
তাঁর এই সাফল্য সম্পূর্ণ কৃতিত্ব তাঁর মাকে দিতে চান প্রিয়তোষ। তিনি সংবাদ মাধ্যমকে জানান, ‘আশা ছিল খুব ভালো ফোন করব। তবে প্রথম হব ভাবিনি। আমার সফলতার পিছনে মায়ের অবদান অনেক। বহু বাধা বিপত্তি এসেছে কিন্তু ধৈর্যচ্যুতি হয়নি। গান শোনা ক্রিকেট, সিনেমা এবং গল্পের বইও পড়েছি ‘।ছেলের সাফল্যে খুশি মা মৌসুমী। তিনি জানান খুব কষ্ট করে অভাব অনটনের মধ্যে ছেলেকে বড় করেছি। ছেলের এই সাফল্যে আজ আমি গর্বিত’। পাশাপাশি তাঁর সাফ্যলে খুশি ডায়মন্ডহারবার পৌরসভার ৯নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলার স্বপন দাস।তিনি বলেন, ‘আমাদের ডায়মন্ডহারবারের গর্ব।সিভিল সার্ভিস(এক্সিকিউটিভ) পরীক্ষায় প্রথম হয়ছে পাড়ার ছেলে প্রিয়তোষ পিপলাই। আগামীদিনে ও আরও বড় হউক।দেশ ও সমাজের সেবায় নিযুক্ত হবে এটাই কামনা করি’।