
বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- আগামী ২৫ শে জুন সমগ্র দেশে জুড়ে ‘সংবিধান হত্যা দিবস’ পালন করতে চায় কেন্দ্র। এই বিষয়ে আজ বুধবার বিকেলে দিল্লি থেকে চিঠি পাঠানো হয় নবান্নে। এ পরেই সাংবাদিক বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তের বিরোধিতা করে বলেন, “কিসের সংবিধান হত্যা দিবস। সারা দেশে বিজেপি যা করছে তাতে তো প্রতিদিনই গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করতে হয়। তাছাড়া এই তারিখটা ঠিক করলেন কিসের ভিত্তিতে?
পাশাপাশি বলেন জরুরি অবস্থার ৫০ বছর তো গত বছর পেরিয়ে গেছে। তাহলে এবারে কেন সেই দিবস পালন করা হচ্ছে”।
সেই সাথে এদিন মুখ্যমন্ত্রী স্পষ্ট জানিয়ে দেন, “ওরা বলছে সংবিধান হত্যা দিবস পালন করা হবে। কিন্তু এই সংবিধান হত্যা কথাটায় আমার আপত্তি আছে। যদিও গণতন্ত্রের স্তম্ভ গুলোকে ওরা ইতিমধ্যে প্রতিদিন ধ্বংস করছে।ফলে ওরা ওদের মতো পালন করুক। আমরা আমাদের মত পালন করছি না। কারণ আমাদের মত করে পালন করতে হলে প্রতিদিন গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করতে হবে”।
এই প্রসঙ্গক্রমে তিনি বলেন, “সেই ৮ই নভেম্বর ২০১৬ নোট বন্দি থেকে পহেলগাম প্রতিদিন দেশের গণতন্ত্র হত্যা করা হচ্ছে। পহেলগামের পর এখনো সর্বদল বৈঠক ডাকা হলো না। আমরা দলের তরফে পাঁচটা প্রশ্ন রেখেছিলাম। সেসবের কোন উত্তর নেই। পার্লামেন্ট এটাক থেকে পহেলগাম , সন্ত্রাস বিরোধী দিবস কি পালন করা হয়েছে। আসলে বিজেপি যা বলছে। কেন্দ্র তাই করছে। তাই এটা আমরা মানবো না”।
মুখ্যমন্ত্রী এদিন আরও বলেন, নোট বন্দির সময় গণতন্ত্র হত্যা করা হয়েছে। কত মানুষকে কতদিন ধরে লাইনে দাঁড়াতে হয়েছে নোট বদলানোর জন্য। ১৪০ জন মানুষ মারা গিয়েছেন। সেই দিনটাকে কেন ‘ব্লাক মানি ডে’ বলে পালন করা হবে না। সেই সঙ্গে এদিন প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বলেন, “দেশের প্রাইম মিনিস্টার কে? মোদী না শাহ। মোদি তো বাইরে বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। আর বকলমে তো দেশটা ওকে(অমিত শাহ) ছেড়ে দিয়েছেন। উনি কোন নিয়মের তোয়াক্কা করছেন না। ওরা আবার গণতন্ত্র হত্যা দিবস পালন করতে চাইছে। কিনা ঐদিন নাকি নেতাজির ছবি দেখাবে। ক্ষমতায় আসার আগে বলেছিল নেতাজির অন্তর্ধান রহস্য উদঘাটন করবেন। আজ অবধি করেছেন। করেননি আসলে এই সরকারটা জুলমা সরকার”। পাশাপাশি তিনি কটাক্ষের সুরে বলেন, “প্ল্যানিং কমিশন তুলে নীতি আয়োগ করেছেন। যার না আছে কোনও নীতি না কোনও প্ল্যানিং”।

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:- ৯১৫৩০৪৩৩৮০