খিদিরপুরে পুড়ে যাওয়া বাজার নতুন করে তৈরী করে দেবে পুরসভা,ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের আর্থিক সাহায্যের ঘোষণা মুখ্যমন্ত্রীর

বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- রবিবার গভীর রাতে আগুন লাগে খিদিরপুর বাজার এলাকায়। ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনার পর আজও সকাল বেলায় পকেট আগুন থেকে গিয়েছিলও। আগুনে ভষ্মীভূত হওয়া বহু সংখ্যক দোকান । ব্যাপক কয়েক ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছেন সাধারণ দোকানদার ব্যবসায়ীরা। আজ দুপুরে খিদিরপুরের ঘটনাস্থলে পৌঁছান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সাথে রাজ্য সরকার ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীদের পাশে থাকছে। সেই সাথে একাধিক সিদ্ধান্তের কথা এদিন জানিয়েছেন তিনি ।
এদিন ঘটনাস্থলে পৌঁছে সাধারণ মানুষকে সতর্ক করে মুখ্যমন্ত্রী বলেন, যতক্ষণ না আগুন সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণে আসছে ,আগুন নেভানোর কাজ সম্পন্ন হচ্ছে ততক্ষণ কাজ করতে দেওয়া হোক পুলিশ এবং দমকলকে।কেউ যেন বাজার এলাকার ভিতরে না যায় ।সেই সাথে তিনি পরামর্শ দেন, ঘটনাস্থলে ওয়াটার ট্যাঙ্ক নিয়ে যাওয়ার।সেই সাথে তিনি আরো জানান, বৈজ্ঞানিক পদ্ধতিতে নতুন মার্কেট বানিয়ে দেয়া হবে। আর এই নতুন বাজার তৈরি করে দেবে রাজ্য সরকার ।এদিন তিনি আরো বলেন, নতুন বাজার তৈরির জন্য আপাতত বাজারে স্থানান্তর করা হবে। কাউন্সিলর এবং মেয়র মিলে সেই জায়গা ঠিক করছেন। কথা বলছেন তিনি নিজেও। নতুন বাজার তৈরীর আগে নিকটবর্তী ওই স্থানে অস্থায়ী বাজার সামান্তরিত হবে ।পাশাপাশি কিভাবে অগ্নিকাণ্ড, কতগুলি দোকান জ্বলে গিয়েছে দেখা হবে। কার কার দোকান জ্বলে গিয়েছে, কার দোকান সম্পূর্ণ জ্বলে গিয়েছে। কার দোকান আংশিক ক্ষতিগ্রস্ত। তদন্তের পর দেওয়া হবে ক্ষতিপূরণ। যাদের দোকান সম্পূর্ন পুড়ে গিয়েছে তাদের সরকার এক লক্ষ টাকা করে দেবে। আংশিক পুড়ে গিয়েছে যাদের দোকান তাদের দেওয়া হয় ৫০হাজার করে। নতুন বাজার তৈরি হবার সময় যাদের দোকান ছিল তাদেরই দোকান থাকবে। বাইরে থেকে কোন অতিরিক্ত দোকান হবে না বলে এদিন স্পষ্ট ভাবে জানান রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পাশাপাশি যতদিন পর্যন্ত না সমীক্ষা শেষ করে আর্থিক সাহায্য দেওয়া হচ্ছে,ততদিন ক্ষতিগ্রস্তদের সংসার চালানোর জন্য ১০ হাজার টাকা করে দেওয়ার কথা বলেন মুখ্যমন্ত্রী।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে ,গতকাল গভীর রাতে খিদিরপুর বাজারে আগুন লাগে। একেবারে ঘিঞ্জি এলাকা হওয়ার কারনে পরপর দোকানে আগুন ছড়িয়ে পড়ে কিছুক্ষণের মধ্যেই। এদিকে জানা গিয়েছে একটি তেলের গুদাম ছিল সেখানে আগুন লাগায় মুহূর্তের মধ্যে গোটা বাজার বাজারেরআগুন ছড়িয়ে পড়ে। রাতে দমকলের প্রায় কুড়িটি ইঞ্জিন আগুন নেভানোর কাজ করে। রাতে ঘটনাস্থলে আসেন কোলকাতা মেয়র ফিরহাদ হাকিম। অগ্নিকাণ্ডের খবর খাওয়ার পরই ঘটনাস্থলে পৌঁছান রাজ্যের দমকল মন্ত্রী সুজিত বসু। আর আজ সোমবার দুপুরে ঘটনাস্থলে ঘটনা গিয়ে ক্ষতিগ্রস্ত স্থানীয় দোকানদারদের সঙ্গে কথা বলেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।