পর্যটকদের জন্য দুঃসংবাদ ! টানা ৩মাস বন্ধ থাকবে রাজ্যের সব বনাঞ্চল

বাংলার চাণক্য নিউজ ডে্স্ক:- ভ্রমণ পিপাসু মানুষজনদের জন্য দুঃসংবাদ ।চলতি মাসের ১৬ তারিখ থেকে আগামী টানা তিন মাস পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকছে রাজ্যের আটটি বনাঞ্চল। এগুলোর মধ্যে রয়েছে পাঁচটি জাতীয় উদ্যানও। সেইসঙ্গে তিনটি অভয়ারণ্য। এই তিন মাস জঙ্গলের ভিতরে প্রবেশ কিংবা সাফারি করতে পারবেন না। বর্ষার সময় বন্যপ্রাণ ও বনজ সম্পদের সংরক্ষণের স্বার্থে ইতিমধ্যে বন দপ্তরের তরফ থেকে এক নির্দেশিকাও জারি করা হয়েছে।
জুন মাসে বর্ষা ঢুকে পড়েছে উত্তরবঙ্গে।

ইতিমধ্যে বনদপ্তর তাদের নির্দেশিকা জারি করেছে। তাতে বলা হয়েছে, আগামী ১৬ জুন থেকে ১৫ই সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এই আটটি বনাঞ্চল পর্যটকদের জন্য বন্ধ থাকবে। এগুলি হল সিঙ্গালিলা, নাওড়া ভ্যালি, গরুমারা, জলদাপাড়া, বক্সা জাতীয় উদ্যান। সেই সাথে সেঞ্চল,মহানন্দা, চাপড়ামারি অভয়ারণ্য। এই সময়ের মধ্যে পর্যটকদের জঙ্গলের ভিতরে প্রবেশ ও সাফারি, দুটোই নিষিদ্ধ থাকবে। তবে কিছু নির্দিষ্ট অঞ্চল এই নিষেধাজ্ঞার আওতায় বাইরে থাকছে।
এদিকে বন বিভাগ সূত্রে জানা গিয়েছে, গরুমারা মূর্তি জঙ্গল ক্যাম্প এবং বক্সার রাজা ভাতখাওয়া টাইগার রিজার্ভ পর্যটকদের জন্য খোলা থাকবে। পাশাপাশি সেঞ্চলের ভিতর দিয়ে জোড়া বাংলো থেকে টাইগার হিল পর্যন্ত যাওয়ার রাস্তা খোলা থাকবে পরিবহনের জন্য।
এ প্রসঙ্গে রাজ্যের বনমন্ত্রী বীর বাহা হাঁসদা সংবাদমাধ্যমকে জানান, এটা ইন্টিগ্রেটেড রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট প্লান্ট এর অংশ। বন্যপ্রাণীদের সুরক্ষা ও পরিবেশের ভারসাম্য বজায় রাখতে এই পদক্ষেপ অত্যন্ত জরুরী।
বন বিভাগ সূত্রে আর জানা গেছে, বর্ষাকালে সাধারণত বনাঞ্চলে প্রাণীজগতের প্রজননের গুরুত্বপূর্ণ সময়। গাছপালা নতুন করে অঙ্কুরিত হয়। বন্যপ্রাণীরা মিলন ও বংশবিস্তারে ব্যস্ত থাকে। এছাড়াও নদী গুলির জল বেড়ে ওঠে। আর সেই কারনে মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবেই প্রতিবছর এ সময়ে দেশের বিভিন্ন অভয়ারণ্যের মতো এরাজ্যের বনাঞ্চল ও পর্যটকদের জন্য নিষিদ্ধ করা হয়।