
ছবি-তপন কুমার দাস
বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- গত তিনদিন ধরে নিখোঁজ থাকার পর শনিবার বাড়ির কাছে একটি পুকুর থেকে উদ্ধার হল এক কিশোরের দেহ। ঘটনাটি ঘটেছে সুন্দরবনের রায়দিঘী থানায় এলাকার ২৩ নম্বর লাটে। মৃতের নাম ধনঞ্জয় দত্ত (১০)। পরিবারের অভিযোগ তাঁকে খুন করে পুকুরে ফেলে দেওয়া হয়েছে। আর এই অভিযোগের উপর ভিত্তিতে পুলিশ তদন্ত শুরু করেছে। পাশাপাশি কিশোরের দেহ উদ্ধার করে পুলিশ ময়না তদন্তের জন্য পাঠিয়েছেন।
পুলিশ ও পরিবার সূত্রে জানা গিয়েছে, গত ২৮ শে জানুয়ারি মঙ্গলবার সন্ধ্যা থেকে নিখোঁজ ছিল ধনঞ্জয় দত্ত।। বাড়ির কাছাকাছি সে খেলছিল। এরপর থেকে তার কোন খোঁজ পাওয়া যায়নি।খুব একটা দেরী না করে চারিদিকে খোঁজাখুজি শুরু করেন পরিবারের লোকজন। তাঁর সন্ধান পেতে এলাকায় লাগানো হয় পোস্টার। তাও কোন ভাবে খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না।।

এদিকে আজ শনিবার সকালে গ্রাম লাগোয়া একটি পুকুরে মৃত দেহ ভাসতে দেখে এলাকার লোকজন খবর দেয় ওই কিশোরের পরিবারকে।তড়িঘড়ি ঘটনাস্থলে এসে দেহ সনাক্ত করেন পরিবারের লোকজন। পাশাপাশি খবর দেওয়া হয় রায়দিঘি থানায়। পুলিশ ঘটনাস্তরে এসে দেহটি উদ্ধার করে, ময়না তদন্তের জন্য পাঠায়। কিভাবে বাড়ি থেকে বেশ কিছুটা দূরে এলে ওই কিশোর এই পুকুরে এলো।পরিবারের লোকজন বলছেন ধনঞ্জয় সাঁতার জানত তাহলে কিভাবে তাঁর মৃত্যু হল তা নিয়ে বাড়ছে একাধিক প্রশ্ন। পরিবারের অভিযোগ কেউ খুন করে পুকুরে ফেলে দিয়েছে। তবে বেশ কয়েকদিন ধরে নিখোঁজ কিশোরের দেহ উদ্ধারের ঘটনার খবর চাউর হতেই এলাকায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়েছে। ইতিমধ্যে ঘটনা তদন্ত শুরু করেছে রায়দিঘী থানার পুলিশ। পরিবারের সঙ্গে কারো শত্রুতা ছিল কিনা কিংবা নিছক দুর্ঘটনা তাও খতিয়ে দেখছেন তদন্তকারী আধিকারিকরা ।তবে সরাসরি সংবাদমাধ্যমে কিছু না বললেও দেহ ময়না তদন্তের পর সবকিছু পরিস্কার বোঝা যাবে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ তদন্তকারীরা ।

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:-৯১৫৩০৪৩৩৮০