গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলা ঘোষণার আবেদন জানালেন-মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়

বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- গঙ্গাসাগর মেলার প্রস্তুতি পরিদর্শন করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিন তিনি বলেন, সুযোগ যদি পাই তাহলে সাগর মেলা কে জাতীয়মেলা করে দেব।
গত কয়েক বছর ধরেই গঙ্গাসাগর মেলাকে জাতীয় মেলার স্বীকৃতি দেওয়ার দাবি জানিয়ে আসছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ।এবারও গঙ্গাসাগর মেলা ২০২৫ এর প্রস্তুতি দেখতে গিয়ে সেই দাবি আরো একবার তুললেন। এদিন তিনি বলেন ‘এটা আমাদের ছোট্ট আবেদন, কুম্ভ মেলা যদি জাতীয় মেলা হয় কেন্দ্রীয় সরকার হাজার হাজার কোটি টাকা খরচ করে। আমরা কুম্ভ মেলাকে সম্মান করি। কিন্তু গঙ্গাসাগর মেলা কিন্তু কুম্ভ মেলা থেকে কোন অংশ কম নয়। সেখানে লোকে যায় রেলে,,গাড়িতে ।কিন্তু আমাদের এখানটায় জল পেরিয়ে আসতে হয়। ।অর্থাৎ এটার ভ্যালু সবথেকে বেশি। তা সত্ত্বেও এই মেলাটাকে জাতীয় মেলা হিসেবে ঘোষণা করা হয়নি। আমি প্রতিবার আসি প্রতিবার বলি। আজ নয় কাল সুযোগ যখন পাবো ,সুযোগ যদি কোনদিন পাই ডেফিনেটলি করে দেব’।
পাশাপাশি তিনি এদিন ভারত সেবাশ্রম সংঘের আশ্রমে দাঁড়িয়ে সঙ্গে এই একাংশের সেবা কাজ না করার অভিযোগ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সোমবার গঙ্গাসাগরের ভারত সেবাশ্রম সঙ্গে গিয়ে সংঘের প্রতিষ্ঠাতা স্বামী প্রণবানন্দজী মহারাজের ছবিতে আরতি করেন মুখ্যমন্ত্রী। এর পর মেলার আয়োজনে সহযোগিতা কড়ায় সংঘ কে ধন্যবাদ জানান তিনি । এদিন তিনি বলেন, ভারত সেবাশ্রম সংঘ শুধু গঙ্গাসাগর মেলা নয়। তাদের প্রচুর ভলান্টিয়ার এখানে কাজ করে। গঙ্গাসাগরে তারা যেভাবে কাজ করে সেজন্য ভারত সেবা সংঘ কে বিশেষভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। প্রশাসনের সঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে যেভাবে তাঁদের ভলেন্টিয়ারা কাজ করে তার কোন বিকল্প নেই। রামকৃষ্ণ মিশন যেমন শিক্ষায় এগিয়ে। ভারত সেবাশ্রম সংঘ তেমন সেবায় এগিয়ে। ঝড়, জল, সাইক্লোন, বন্যা প্রাকৃতিক দুর্যোগে আর কাউকে না পেলে ভারত সেবাশ্রম সংঘ কে আপনারা পাবেনই ।একটা দুটো জায়গায় কয়েকজন লোক আছেন যারা হয়তো কাজটা করেন না। ৯৯% লোক কাজটা করেন। আমি তাদের সবাইকে স্বেচ্ছাসেবক, তীর্থযাত্রীকে আমার প্রাণ ভরা অভিনন্দন জানাই’।
এরপর তিনি বলেন। গঙ্গাসাগর মেলাটা আমরা টোটালটাই রাজ্য সরকারের পয়সায় খরচ করি। সবাই আমাদের সহযোগিতা করেন। ছোট্ট ঘটনা কে কেন্দ্র করে এমন কিছু করবেন না যাতে প্ররোচনার সৃষ্টি না হয়। পাশাপাশি এদিন তিনি বাংলাদেশ থেকে মুক্তি পাওয়া ৯৫জন মৎস্যজীবির সঙ্গে দেখা করেন।