পুলিশ সেজে গয়না লুট ! অভিযুক্তদের গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদে উঠে এল চাঞ্চল্যকর তথ্য

রাজ্য

বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- প্রায় এক মাস ধরে তদন্ত চালিয়ে অবশেষে মহারাষ্ট্রের লাটুর জেলা থেকে দুই অভিযুক্ত ইউনিস আলী। ও হাসানি নাসিরকে গ্রেফতার করলো। কোলকাতার বাগুইআটি থানার একটি বিশেষ তদন্তকারী দল। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, দুই অভিযুক্ত কর্ণাটকের কুখ্যাত বিদর গ্যাংয়ের সদস্য। যাদের নামে গোটা দেশ সহ কোলকাতায় দায়ের করা হয়েছে একাধিক মামলা।
কোলকাতা শহরে কি কর্নাটকের বিদর গ্যাং ঘাঁটি গেড়েছে ? সম্প্রতি ঘটে যাওয়া বেশ কিছু ঘটনা থেকে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে।গত ৯ই মার্চ কোলকাতার বাগুইআটি থানা এলাকায় একটি চুরির ঘটনা ঘটে।  সে বিষয় চুরির অভিযোগ দায়ের করেন নাগেরবাজারের সুরের মাঠের বাসিন্দা শংকর প্রসাদ দত্ত। তাঁর অভিযোগ ছিল ভুয়া পুলিশ সেজে তাঁর সব সোনার গয়না চুরি করে নিয়েছো।অভিযোগ কেন এত সোনা পড়ে তিনি বাইরে বেরিয়ে ছিলেন? সেই নিয়ে প্রথমে তাঁরা শঙ্কা প্রকাশ করেন। তারপর সোনা গুলিকে নিরাপদ ভাবে একটি প্যাকেটে ভরে দেওয়ার নামে সেগুলি নিয়ে। তাঁরা চম্পট দেয়। এপরই ঘটনাটি বিস্তারিতভাবে বাগুইহাটি থানা পুলিশকে জানায় ওই ব্যাক্তি। দায়ের হয় অভিযোগ। অভিযোগের ভিত্তিতে তদন্ত নামে বাগুইআাটি থানার পুলিশ। শুরু হয় সিসিটিভি ফুটেজ পরপর ধরে ধরে যাচাইয়ের কাজ ।কিন্তু তাতেও দুষ্কৃতীরা হদিস কোনোভাবেই  পাওয়া যাচ্ছিল না। কার্যত নিরাশ হয়ে পড়েছিলেন তদন্তকারীরা। কিন্তু শেষ মুহূর্তে একটি ফুটেজ ঘুরিয়ে দিল ঘটনার মোড়। দুটি বাইক আরোহী তাদের বাইক থেকে নেমে প্রথমে নিজেদের প্রসাক বদল করে। তারপর তারা একটি চার চাকার গাড়িতে উঠে চলে যান। আর এতেই সন্দেহ ক্রমশ  বাড়িয়ে তোলে তদন্তকারীদের। আর এতে থেমে না থেকে লেগে পড়ে শুরু হয় তদন্ত। প্রায় টানা এক মাস ধরে তদন্ত চালিয়ে শেষমেষ মহারাষ্ট্রের লাটুর জেলা থেকে দুই অভিযুক্ত ইউনুস আলী ও হাসানি নাসির কে গ্রেপ্তার  করে বাগুইহাটি থানার একটি বিশেষ তদন্তকারী দল। মূলত শহর এলাকার বয়স্ক লোকদের নিশানা করত তারা। অভিযোগ এলেও প্রথম থেকে কিছুই বুঝতে পারছিল না পুলিশ করতে  অভিযুক্ত যে ধরাই যাচ্ছিল না। মধ্যে প্রায় ৫০টিরও বেশি অভিযোগ দায়ের হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।
পাশাপাশি পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ধৃতরা কর্নাটকের বিদর গ্যাংয়ের সদস্য তারা। কর্ণাটক থেকে বিমানে করে কোলকাতায় এসে ভুয়া পরিচয়পত্র দেখিয়ে শহরের বিভিন্ন হোটেলে থাকতো। একসঙ্গে চার পাঁচটি কেপমারিরের ঘটনা ঘটিয়ে ফিরে যেতে কর্ণাটকে। গাড়ি ভাড়া করে পুলিশের পোশাক পরে টার্গেট করা হতো বৃদ্ধ বৃদ্ধাদের। নির্দিষ্ট জায়গায় কাউকে দেখে গয়না কে নজর করত। তারপর তাদের কাছে গিয়ে জানতো ওই এলাকায় ছিনতাই হয়েছে। তাই গয়না পড়ে যাওয়া নিরাপদ নয়। এরপর তাদের বুঝিয়ে রঙিন প্যাকেট সেগুলোকে ভরে। ওই প্যাকেটি চোখের পলকে বদলে দিত । কেপমারির সময় ঘটনাস্থলে দুজন থাকলেও গাড়ি নিয়ে দূরে অপেক্ষা করতো কয়েকজন।  পুলিশ সূত্রে আরও জানা গিয়েছে, ওই দুই জন অভিযুক্ত কর্নাটকের কুখ্যাত বিদর গ্যাংয়ের সদস্য। যাদের বিরুদ্ধে সমগ্র দেশ সহ কোলকাতায় দায়ের হয়েছে একাধিক মামলা। ইতিমধ্যে আদালতের পেশ করে ট্রানজিট রিমান্ডে নিয়ে আসা হয়েছে ওই অভিযুক্তদের। তাদের কর্মকাণ্ড কোথায় ছিল? কিভাবে চলত এই গ্যাং। তার শিকড়ের সন্ধানে নেমেছে পুলিশ ।

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:-৯১৫৩০৪৩৩৮০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *