রাজভবনে মমতা-সিভি আনন্দ বোস বৈঠক,সংঙ্ঘাতের আঁচ কমার ইঙ্গিত ‘প্রকৃত বন্ধুত্ব’ বার্তায়

রাজ্য

বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- শেষমেষ রাজভবনে গেলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেক্ষেত্রে ছয় মাস আগে তিনি জানিয়েছিলেন  রাজ্যপাল ডাকলে তিনি রাজভবনে যাবেন না। রাজ্যপালের দরকার হলে তিনি রাস্তায় বসে কথা বলবেন। কিন্তু রাজভবনে নয়।আবার গত ১৫ ই আগস্ট স্বাধীনতা দিবসের দিনে ফিরাদ হাকিমকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে গিয়েছিলেন তিনি। যদিও রাজ্যপাল  সি বি আনন্দের সঙ্গে দূরত্ব বাড়িয়ে রেখেছিলেন। তবে এবার একেবারে সম্পূর্ণ উল্টো। তিনি সোমবার মুখ্য সচিবকে সঙ্গে নিয়ে রাজভবনে গেলেন। সেখানে প্রায় আধ ঘন্টা রাজ্যপালের সঙ্গে বৈঠকও করলেন।
এদিন সন্ধ্যা ৬টা নাগাদ রাজ ভবনে যান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল এবং মুখ্যমন্ত্রীর মধ্যে প্রায় আধঘন্টার উপর বৈঠক করেন।যদিও এই বিষয় নিয়ে সংবাদমাধ্যমে মুখ খোলেননি।তবে রাজভবনের মিডিয়া সেলের পক্ষ থেকে একটি বার্তা দেওয়া হয়েছে তা হল “যখন সব দিকটা অন্ধকার তখন প্রকৃত বন্ধুত্ব আলো দেয়…যখন আমরা হয়তো আলাদা ছিলাম তখনও গাছের শাখার মতো আমরা যুক্ত ছিলাম”।কার্যত রাজ্য এবং রাজভবনের মধ্যে নিবিড়তার সম্পর্কের কথা উল্লেখ করা হয়েছে রাজভবনের তরফে।

 তবে কি  রাজ্যের বিশ্ববিদ্যালয় গুলির স্থায়ী উপাচার্য নিয়োগ বিষয় নিয়ে কথা বলতে এদিন রাজভবনে গিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বলে বিভিন্ন মহল  থেকে ইতিমধ্যে প্রশ্ন উঠছে । তাহলে রাজ্য এবং রাজ ভবনের দূরত্ব ও সংঘাত অনেকটাই কমছে ।
রাজ্যে সি বি আনন্দ রাজ্যপাল হিসাবে দায়িত্ব নেওয়ার পরই রাজ্য এবং রাজভবনের সংঘাত এবং দূরত্ব বেড়েছে অনেকটাই। দু পক্ষই একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে। সেক্ষেত্রে উপাচার্য নিয়োগ থেকে শুরু করে ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস ইসুতে রাজ্যে ও রাজভবনের সংবাদ প্রকাশ্য এসেছেবারে বারেবারে ।
সম্প্রতি রাজ্যের উপনির্বাচনের ৬ বিধায়ককে বিধানসভায় গিয়ে শপথ বাক্য পাঠ করিয়ে দিয়ে আসেন। এবার মুখ্যমন্ত্রী নীরবেই রাজভবনে যান। সেক্ষেত্রে যদি উপাচার্য নিয়োগ বিষয় নিয়ে  আলোচনা হয় তাহলে তা হবে রাজ্যের জন্য অত্যন্ত সুখকর। কারণ হিসাবে ওয়াকিবহাল মহল মনে করছেন অনেকদিন ধরেই উপাচার্য নিয়ে জট রয়েছে। 

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:- ৯১৫৩০৪৩৩৮০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *