
বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- অটো জালিয়াতিচক্রের পর্দা ফাঁস করল ডায়মণ্ডহারবার পুলিশ জেলার মহেশতলা থানার পুলিশ। ওই জালিয়াতি চক্রের সঙ্গে যুক্ত থাকার অভিযোগে ৪জনকে গ্রেফতার করেছে। আলিপুর আদালতে তোলা হলে, বিচারক তাদের জেল হেপাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। এ প্রতারণা চক্র কিভাবে চালতো তারা? কতদূর বিস্তৃত এই জালিয়াতি নেটওয়ার্ক? আর কারা যুক্ত? এ বিষয় নিয়ে ইতিমধ্যে তদন্তকারীরা তদন্ত শুরু করেছেন।
সূত্রের খবর, ইতিমধ্যে তাঁরা জানতে পেরেছেন। বাজারের দালালদের দিয়ে নগদ টাকায় অনেকে অটো কিনে রাস্তায় চালাচ্ছে। ইতিমধ্যে কয়েক মাস চালানোর পরেই ফিন্যান্স কোম্পানি তাদের লোক পাঠিয়ে রাস্তা থেকে অটো তুলে নিয়ে যাচ্ছে। এই ভাবে প্রতারিত হয়েছেন বহু মানুষ। গত ১৪ই মার্চ ৫ জন ব্যক্তি আলাদা আলাদা অভিযোগ দায়ের করেন। এরপরই তদন্তে নামে ডায়মণ্ডহারবার পুলিশ জেলার মহেশতলা থানার পুলিশ। আর এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে যুক্তদেরকে খুঁজে বের করে পুলিশ।
ডায়মন্ড জেলা পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে। যারা প্রতারিত হয়েছেন তাদের মধ্যে প্রায় প্রত্যেকেই কোন না কোন ভাবে দালালদের মাধ্যমে অটো রাস্তায় নামিয়েছেন। কেউ অটো রুট পারমিট আবার কেউ নাম হস্তান্তর। এমন কি নতুন অটো বার করার জন্য দালালের সঙ্গে যোগাযোগ করেছেন।। প্রতারকদের ফাঁদে পা দিয়ে নিজেদের পরিচয় পত্র জেরক্স দিতেই তাতেই একেবারে কেল্লাফতে।
জানা গেছে, ঐ সমস্ত নথির দিয়ে দালাল চক্র বিভিন্ন ফিন্যান্স কোম্পানির এজেন্ট এর সাহায্যে লক্ষ টাকা ঋণ নিয়েছে।আরও জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা, প্রতারকরা প্রথম কিস্তির বেশ কয়েকটি ইনস্টলমেন্ট দেওয়ার পরই পরবর্তী সময়ে আর কিস্তি জমা দিত না। আর তখনই ফিন্যান্স কোম্পানি তাদের বাউন্সার পাঠিয়ে রাস্তা থেকেই অটো গুলিকে তুলে নিয়ে যেতে। এ বিষয়ে অটো মালিকরা ফিন্যান্স কোম্পানির সঙ্গে যোগাযোগ করলে, ফিনান্স কোম্পানিরা ভারত সরকারের এম পরিবহন অ্যাপ খুলে তাদের নামে যে লোন নেওয়া হয়েছে তা দেখায় বলে অভিযোগ করেন প্রতারিতরা। কিস্তির টাকা শোধ না হলে অটো ছাড়বে না সংস্থা আর এর ফলেই প্রতারিতদের কাছে অন্য কোন উপায় ছিল না ।শেষমেষ থানার দারস্থ হন তাঁরা।
ইতিমধ্যে তদন্তকারীরা আরো জানতে পেরেছেন, কাগজে কলমে যখন ওই গাড়ির মালিকানা অপরজন তাহলে কেন প্রথম ব্যক্তিকেই লোনের টাকা পরিশোধ করতে হচ্ছে? কোন তথ্যের নথি যাচাই না করেই আরটিও এম পরিবহন অ্যাপের মাধ্যমে লোনের অনুমতি দিয়ে দিচ্ছেন। পাশাপাশি তদন্তকারীরা আরো জানতে পেরেছেন, মহেশতলার বাসিন্দা গৌরাঙ্গ সাঁতরা এবং সোমনাথ চক্রবর্তী নামে দুই ব্যাক্তি এই অসাধুচক্রের দালাল। আর এদের মাধ্যমেই প্রতারিত মানুষদের নথি গুলি পৌঁছে যেত অটো জালিয়াতদের হাতে। ইতিমধ্যেই দুজন দালালকে তারপরে জিজ্ঞাসাবাদ করতেই আরো দুজন ব্যক্তির নাম উঠে আসে। একজন হরিদেবপুরের বাসিন্দা বিশ্বজিৎ দাস, একটি ফিন্যান্স কোম্পানির এজেন্ট হিসেবে কাজ করতেন। অন্যজন সমিরন নস্কর বাড়ি ঠাকুরপুকুরে।এর মূল কাজ ছিল সই নকল করে নথি এবং ডিট বানিয়ে মোটর ভিকেলসে জমা করা । তদন্তকারীরা আরো মনে করছেন, জালিয়াতিচক্রের জাল অনেকদূর পর্যন্ত বিস্তৃত।এদেরকে দফায় দফায় জিজ্ঞাসাবাদ করে এই চক্রের গোড়ায় পৌঁছাতে চাইছেন,পাশাপাশি এই জালিয়াতিচক্র শুধু এই জেলার মধ্যেই সীমাবদ্ধ নয় বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ তদন্তকারীরা।

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:- ৯১৫৩০৪৩৩৮০