উচ্চমাধ্যমিকে প্রতিটা কেন্দ্রে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে তল্লাশি ! পৌঁছতে হবে ১ঘন্টা আগে

বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষার বিভিন্ন বিষয় নিয়ে বুধবার সাংবাদিক বৈঠক করলেন উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদ ।এখানে বলা হয়েছে ৩মার্চ থেকে পরীক্ষা চলবে ১৮ই মার্চ পর্যন্ত। পরীক্ষার সময় সকাল ১০ টা থেকে বেলা ১ট ১৫ মিনিট পর্যন্ত। কিছু মাইনোর বিষয়ে যেমন মিউজিক সহ অন্যান্য ভোকেশনাল সাবজেক্ট এর জন্য সময় সকাল ১০ টা থেকে ১২ টা পর্যন্ত।
উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষা ২০২৫ রেগুলার সিস্টেমের এটাই শেষ পরীক্ষা। এরপর থেকে সেমেস্টার ভিত্তিতে হবে ।
এবারের পরীক্ষায় থাকছে বেশ কিছু উল্লেখযোগ্য বিষয় ।তা হল, এডমিট কার্ডে থাকছে পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম। অনেকদিন ধরেই ভেন্যুর নাম থাকত না। এবার এডমিট কার্ডেই থাকছে পরীক্ষা কেন্দ্রের নাম। কনফিডেশিয়াল পশ্নপত্র সমস্ত রিজিওনাল অফিসে পৌছে গিয়েছে।উত্তরবঙ্গ রিজিওনাল অফিস সহ সমস্ত জায়গায় পৌছে গিয়েছে। পুলিশ স্টেশন বা ট্রেজারিতে চলে গিয়েছে। পরীক্ষাকেন্দ্র অনুসারে,তারিখ অনুসারে প্যাকেজিং থাকবে এবারের প্রশ্নপত্র প্রত্যেকটা পরীক্ষা কেন্দ্রের জন্য আলাদা করে প্রশ্ন প্যাকেট থাকবে। প্রশ্নপত্র এবার ভেন্যুর সুপারভাইজারের ঘরে খোলা হবে না। এবার ছোট প্যাকেটে থাকবে প্রশ্নপত্র। যে ঘরে যতগুলি প্রয়োজন সেই অনুসারে প্যাকেট দেওয়া হবে। প্রশ্নপত্র সরাসরি ৯টা৫৫মিনিটে খোলা হবে। পরীক্ষার্থীদের সামনে খোলা হবে প্রশ্ন। প্রশ্নপত্রের ডিজিটাল সিরিয়াল নম্বর থাকবে। সিরিয়াল নাম্বারটি উত্তর পত্রে লিখতে হবে। প্রশ্নপত্রের সিরিয়াল নম্বর উত্তরপত্রের মাথায় নির্দিষ্ট জায়গায় লিখতে হবে। যাতে প্রশ্নপত্রের ছবি তুলে কপি না করা যায়। তার জন্য বিশেষ সুরক্ষা থাকবে। সেই সঙ্গে সমস্ত পরীক্ষা কেন্দ্রে থাকবে মেটাল ডিটেক্টর। মোবাইলসহ অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস নিয়ে যাওয়া যাবে না। মোবাইল নিয়ে একেবারে জিরো টলারেন্স নীতি থাকবে। মেটাল ডিটেক্টর প্রত্যেক কেন্দ্রে পৌঁছে যাবে। এগুলি নিয়ে চেকিং করা হবে। পাশাপাশি দুটি সিসি ক্যামেরা সমস্ত পরীক্ষা দিয়ে রাখতে হবে। প্রবেশদ্বার ও প্রশ্নপত্র যেখানে থাকবে সেখানে সিসি ক্যামেরা রাখতেই হবে। এবার পরীক্ষার্থীর সংখ্যা পাঁচ লক্ষ নয় হাজার। যে গত বছরের তুলনায় অনেকটাই কমেছে। এবার ছাত্রদের সংখ্যা ৪৫.৩২ শতাংশ। ছাত্রী সংখ্যা ৫৪.৬৮% এবারও ছাত্রীর সংখ্যা বেশি। সমস্ত জায়গায় নির্দেশ দেওয়া হয়েছে,সব পরীক্ষা কেন্দ্রের মোবাইল নেই এটা নিশ্চিত করতে হবে। কমপক্ষে দুইজন করে ইনভিজিলেটর রাখতে হবে একটা রুমে। তবে পরীক্ষার্থীর সংখ্যার ভিত্তিতে তা বাড়তে পারে। মূল গেটে মেটাল ডিটেক্টর দিয়ে পরীক্ষা করতে হবে জানিয়েছেন পর্ষদ কর্তা।