
হিমাদ্রিশেখর মণ্ডল,বাংলার চাণক্য নিউজ, ক্যানিং – সুন্দরবনের বৃহত্তম ক্যানিং মহকুমা হাসপাতাল। যেখানে প্রতিদিনই জেলার ক্যানিং- ১, ক্যানিং-২, বাসন্তী, গোসাবা, জীবনতলা, বারুইপুর, জয়নগর, কুলতলি সহ উত্তর ২৪ পরগনার সন্দেশখালি, , হিঙ্গলগঞ্জ, মিনাখাঁ-সহ বিভিন্ন প্রান্তের হাজার হাজর মানুষ চিকিৎসা পরিষেবার জন্য আসেন। ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে দুটি বিভাগ রয়েছে।দুটি বিভাগের মধ্যে মাতৃমা বিল্ডিং এর সামনে পানীয় জলের একটি ট্যাপ রয়েছে। সেখানে পানীয় জল থাকলেও পুরাতন বিল্ডিংয়ের জরুরী বিভাগ বর্হিঃবিভাগ সংলগ্ন পানীয় জলের ট্যাপ এমনকি টিউবওয়েল দীর্ঘদিন ধরে অকেজো হয়ে রয়েছে। সাধারণ রোগী ও তাদের পরিবার পরিজনদের অভিযোগ, হাসপাতালে কল আছে কিন্তু জল নেই,কর্তৃপক্ষ উদাসীন। যারফলে দীর্ঘদিন ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালে পানীয় জলের সংঙ্কট চলছে। রোগীর পরিবার পরিজনদের আরও অভিযোগ, প্রয়োজন এবং তেষ্টা মেটাতে প্রতিদিনই শতাধিক টাকার পানীয় জল কিনতে হয়। অনেক সময় সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত আউটডোরে লাইনে দাঁড়াতে হয়। জল তেষ্টা পেলে জল কিনে আনতে হয়।
মহকুমা হাসপাতালে পানীয় জল সঙ্কট প্রসঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনা জয়নগর সাংগঠনিক জেলার বস্তি উন্নয়ন সমিতির কনভেনার সমীর মণ্ডল জানিয়েছেন, প্রতিদিনই একজন রোগীর তিন থেকে সাড়ে তিন লিটার জল প্রয়োজন। সেই প্রয়োজন মেটাতে রোগীর পরিবার পরিজনদের গাঁটের কড়ি খরচ করতে হয়। যিনি সুপার রয়েছেন তিনি নীরব। সম্ভবত গ্রামের মানুষদের প্রতি তাঁর অবহেলা। আমি এ বিষয়ে স্বাস্থ্যমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করছি। হাসপাতালের আর কতটা বেহাল অবস্থা হলে আপনি দৃষ্টিপাত করবেন? যদি দৃষ্টিপাত না করেন আগামী দিনে সমগ্র সুন্দরবনের মানুষ একত্রিত হয়ে আন্দোলন সামিল হতে বাধ্য থাকবে।’
এই ঘটনা প্রসঙ্গে ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সুপার ডাঃ পার্থসারথী কয়াল জানিয়েছেন, ‘যত তাড়াতাড়ি সম্ভব সমস্যার সমাধান করা হবে। এই জন্য উদ্যোগ গ্রহন করা হয়েছে।’
ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:- ৯১৫৩০৪৩৩৮০