
বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- সারারাত ধরে চলল তল্লাশি। শনিবার রাত ১১ টা থেকে রবিবার সকাল সাতটা পর্যন্ত চলে ওই চিকিৎসকের বাড়িতে তল্লাশি। প্রায় ৫ সদস্যের কেন্দ্রীয় তদন্তকারী প্রতিনিধি দল পৌঁছায় বর্ধমান শহরের মিঠাপুকুরের হাতিশালা এলাকায়। জানা গিয়েছে মূলত কিডনি পাচারের তদন্তে নেমে এই অভিযানে যান আধিকারিকরা । বর্ধমানের হাতিশালের বাড়ি থেকে চিকিৎসক তপন কুমার জানাকে গ্রেফতার করল সিবিআই।
তাঁর বিরুদ্ধে অভিযোগ টাকার বিনিময়ে বেসরকারি মেডিকেল কলেজেকে ভুয়ো রিপোর্ট দেওয়ার। শনিবার সারারাত তল্লাশি চালানো পর বাড়ি থেকে উদ্ধার হল নগদ প্রায় ৫৪ লক্ষ টাকা। এছাড়াও সোনা ও হীরের গয়না বাজেয়াপ্ত করেছেন তদন্তকারীরা। তবে পুরো বিষয়টি নিয়ে সংবাদমাধ্যমে কিছুই বলতে চাইছে না তাঁর পরিবারের সদস্যরা।
মুর্শিদাবাদ মেডিক্যাল কলেজের অ্যাটোনমি বিভাগের প্রধান তপন কুমার জানার বাড়িতে শনিবার আচমকাই হানা দেয় পুলিশ। মুর্শিদাবাদ মেডিকেল কলেজের অ্যাটোনমি বিভাগের প্রধান তপন কুমার জানা জাতীয় মেডিকেল কমিশনের সমীক্ষকও ছিলেন। এছাড়াও তিনি রাজ্যের একাধিক মেডিকেল কলেজের পরিকাঠামো সংক্রান্ত রিপোর্ট দেওয়ার দায়িত্বে ছিলেন। যে রিপোর্টের উপর ভিত্তি করে মূলত বেসরকারি মেডিকেল কলেজ অনুমান পেয়ে থাকেন। এছাড়াও তাঁর বিরুদ্ধে কিডনির পাচার চক্রে যুক্ত থাকার অভিযোগ রয়েছে। আরো অভিযোগ ইনি বিভিন্ন মেডিকেল কলেজের হয়ে ভুয়ো রিপোর্ট দিয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা নিয়েছেন ডাক্তার তপন কুমার জানা। এমনও অভিযোগ এসেছে, কর্ণাটকের একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজের হয়ে ভুয়ো রিপোর্ট দিয়ে ১০ লক্ষ টাকা নিয়েছেন বলেও অভিযোগ।
তপন কুমার জানাকে আজ রবিবার বিশেষ সিবিআই আদালতে পেশ করেছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর তাঁকে হেফাজতে নিতে আবেদনও জানিয়েছেন তদন্তকারীরা ।
ওয়াকিবহুল মনে করছেন ,পরিকাঠামোহীন মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা করে আগামী দিনে ছাত্র ছাত্রীরা কেমন ধরনের চিকিৎসক হবে? সেই সঙ্গে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, এই দুর্নীতির সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে। তাদেরকে একে একে খুঁজে বার করা উচিত।তা না হলে সমাজের বড় ক্ষতি হয়ে যাবে বলে মনে করছে অভিজ্ঞ চিকিৎসক মহল ।

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:- ৯১৫৩০৪৩৩৮০