ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগে রণক্ষেত্র জয়নগর,ঝাঁটা হাতে পুলিশকে তাড়া করল মহিলারা

বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক :- আরজিকল হাসপাতালের ধর্ষণ খুনের ঘটনা রেশ এখনো কাটেনি। এরমধ্যে চতুর্থ শ্রেণীর এক ছাত্রীকে ধর্ষণ করে খুনের অভিযোগ উঠল। ঘটনাই ঘটেছে দক্ষিণ২৪পরগণার কুলতলী থানার কৃপাখালি হালদার পাড়া মোড় এলাকায়। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে একের পর এক রণক্ষেত্রে গোটা এলাকা। ঘটনার পরে জয়নগর মহিষমারি থানা ভাঙচুর করে উত্তেজিত জনতা।
ঝাঁটা হাতে পুলিশের দিকে তেড়ে গ্রামের শয়ে শয়ে মানুষজন। ভাঙচুর চলে অভিযুক্তের বাড়ি। কার্যতর রণক্ষেত্রে পরিস্থিতি এলাকায় । ওই ছাত্রীর পরিবার এবং স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দুপুরে টিউশন পড়তে যায় চতুর্থ শ্রেণীর একই ছাত্রী। এরপর বিকেল গড়িয়ে সন্ধ্যা নেমে এলো বাড়িতে সে ফেরেনি। এমনকি গভীর রাত পর্যন্ত পরিবারের লোকজন বিভিন্ন জায়গায় খোঁজাখুঁজির পরেও ওই ছাত্রীর খোঁজ পাওয়া যায়নি বলি অভিযোগ। এরপরে স্থানীয় জয়নগর মহিষমারি পুলিশ ফাঁড়িতে এই বিষয়টিকে জানানো হয় ওই ছাত্রী পরিবারের তরফে। অভিযোগ পুরো বিষয়টি জানানো হলেও প্রথমে পুলিশ কোন অভিযোগ নেয়নি। এমনকি অভিযোগ কে গুরুত্ব দেওয়া হয়নি বলে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। এরপরই গভীর রাতে জয়নগর থানা এলাকার কৃপাখালী এলাকার একটি জলা জমির ধার থেকে ওই ছাত্রীর নিথর দেহ উদ্ধার হয়। ১০ বছরের কিশোরীর দেহে একাধিক আঘাতের চিহ্ন দেখতে পেয়েছেন বলে বাসিন্দাদের অভিযোগ। পাশাপাশি আরও অভিযোগ ধর্ষণ করে খুন করে জলা ভূমিতে ফেলে দেওয়া হয়েছে। এরপরই উত্তেজনা ছড়িয়ে পড়ে। এলাকায় পুলিশকে ঘিরে চলে প্রবল বিক্ষোভ সেই সঙ্গে লাঠি হাতে রাস্তায় নামেন মহিলারা।
জানা গেছে, এই ঘটনায় এক ব্যক্তিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। অভিযুক্ত ওই ব্যক্তির বাড়ি ভাঙচুরও করে স্থানীয়রা। স্থানীয় বাসিন্দাদের অভিযোগ পুলিশ অভিযোগ প্রথমে নেয়নি। ঠিক সময়ে তা নিলে এত বড় ঘটনা করত না।
এদিকে এই ঘটনার পরেই বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছায়। বারইপুর পুলিশ জেলার উচ্চপদস্থ আধিকারিকরা ঘটনাস্থলে আসেন। পুরো এলাকায় ঘিরে রাখা হয়েছে। অভিযুক্তকে দফায় দফায় জেরা করছে পুলিশ।মৃতদেহ ময়নাতদন্তের জন্য কাঁটাপুকুর মর্গে পাঠানো হয়েছে।এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ টহল দারি চলছে।