টানা ২মাস সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা,ধরলেই বাতিল হবে লাইসেন্স

রাজ্য

তোতন দাস,বাংলার চাণক্য নিউজ:- সমুদ্রে মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি করল রাজ্য মৎস্য দপ্তর। আজ ১৫ ই এপ্রিল ২০২৫ থেকে আগামী ১৪ জুন পর্যন্ত মাছ ধরার উপর নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।। মৎস্যজীবী সংগঠনগুলো মাছ ধরার উপর এই নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা কিছুটা বাড়ানোর দাবি জানিয়েছিলেন। তবে তা বাড়ানো হয়নি। আগের মতই ৬১ দিনের সমুদ্রে এবং নদীতে মাছ শিকারের উপর নিষেধাজ্ঞ থাকবে বলে জানিয়ে দিয়েছে রাজ্যে মৎস্য দপ্তর।
প্রতিবছরই মৎস্য দপ্তর এ সময়ে সমুদ্র- নদীতে মাছ ধরার উপরে নিষেধাজ্ঞা জারি করে থাকে। কারণ এই সময়ে সামুদ্রিক মাছের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য মাছ ধরার উপর এই নিষেধাজ্ঞা। ইতিমধ্যে সরকারি নির্দেশ ইমেইল মারফত রাজ্যের প্রতিটি মৎস্যজীবীদের এবং সংগঠনগুলোকে পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। এই নির্দেশে বলা হয়েছে, কোন ট্রলার নির্দেশ অমান্য করে মাছ ধরতে সমুদ্রে যেতে পারবেনা। সে ক্ষেত্রে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া  হবে। প্রয়োজনে ট্রলারের লাইসেন্স পর্যন্ত বাতিল করা হতে পারে। এর জন্য নজরদারি চালাবে প্রশাসন।

উল্লেখ্য সমুদ্র-নদীতে মাছের প্রজনন বৃদ্ধির জন্য নিষেধাজ্ঞার সময়সীমা ৬০ দিনের বদলে ৯০ দিন করার জন্য দাবি জানিয়েছিল মৎস দক্ষিণ বঙ্গ মৎস্যজীবী ফোরাম,ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিসার ম্যান অ্যাসোশিয়েশন । তাদের দাবি ছিল এই সময় সীমা বাড়ালে সামুদ্রিক মাছের আকার  আরো বড় হবে। তাছাড়া মাছের সংখ্যাও বাড়বে।তার ফলে লাভ হবে মৎস্যজীবিরা।
এদিকে গভীর সমুদ্রে যে সমস্ত মৎস্যজীবী ট্রলার। মাছ ধরতে গিয়েছিল তারা ইতিমধ্যে ফিরে এসেছে বলে বাংলার চাণক্য নিউজ সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন,ওয়েস্ট বেঙ্গল ফিসার ম্যান অ্যাসোশিয়েশন এর সহ সম্পাদক বিজন মাইতি।পাশাপাশি তিনি বলেন, প্রায় ১১হাজার ৫০০টি যন্ত্রচালিত এবং যন্ত্রবিহীন ট্রলার,ভুটভুটি,নৌকা ইতিমধ্য ফিরে এসেছে।

প্রশাসনের পাশাপাশি সংগঠনের তরফেও নজরদারি চলবে।

এদিকে মাছ ধরার ক্ষেত্রে নিষেধাজ্ঞার সময় সীমা বৃদ্ধি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, সংগঠনের তরফে বারবার প্রশাসনের কাছে ৯০দিন নিষেধাজ্ঞার সময় বৃদ্ধির দাবী জানানো হয়েছিল।সেই সাথে এই সময়কালে কর্মহীন মৎস্যজীবিদের জন্য বিশেষ ভাতা চালুর করার দাবী জানানো হয়েছিল।  

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:- ৯১৫৩০৪৩৩৮০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *