
বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- বঙ্গোপসাগরে মাছ ধরতে গিয়ে বাংলাদেশি নৌ বাহিনীর হাতে আটক কাকদ্বীপের দুটি টলার। নাম এফবি বাসন্তী এবং এফবি জয় জগন্নাথ। জানা গেছে, টলার দুটিতে ৩১ জন মৎস্যজীবী রয়েছে এরা সকলে কাকদ্বীপে এলাকার বাসিন্দা।
বাংলাদেশে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরার উপরে সরকারি নিষেধাজ্ঞা চলছে।মৎস্য ইউনিয়ান সূত্রে জানা গেছে, ভারতীয় উপকূল রক্ষী বাহিনীর নজর এড়িয়ে ভারত বাংলাদেশ আন্তর্জাতিক জল সীমান্ত পার করে বাংলাদেশে ঢুকে পড়েছিল বলে মনে করছেন কাকদ্বীপের মৎস্যজীবী সংগঠনে কর্মকর্তারা ।এর পর বাংলাদেশের নৌবাহিনী নজরে পড়তেই ভারতীয় দুটি ট্রলারকে ধাওয়া করে ধরে ফেলে। জানা গেছে ওই দুটি ট্রলার আটকের পর বাংলাদেশের পটুয়াখালী মৎস্য বন্দরে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে কলাপাড়া থানার পুলিশের হাতে তাদেরকে তুলে দেওয়া হয়েছে।

এদিকে বুধবার সন্ধ্যায় এই খবর পৌঁছানোর পরই উদ্বিগ্ন আটক মৎস্যজীবি পরিবারের সদস্যরা। এর মধ্যে মৎস্যজীব সংগঠনের পক্ষ থেকে বাংলাদেশের মৎস্যজীবি সংগঠনের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়েছে বলে জানান কাকদ্বীপ ফিসারম্যান ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের সম্পাদক বিজন মাইতি। তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, “দ্রুত মৎস্যজীবীদের দেশে ফেরানোর আবেদন জানানো হয়েছে জেলা প্রশাসন ও রাজ্য সরকারের কাছে।পাশাপাশি আটক মৎসজীবীদের সুরক্ষার জন্য বাংলাদেশের কয়েকটি মৎস্যজীবী সংগঠনের সঙ্গে আমরা যোগাযোগ করছি। তবে এখন বাংলাদেশে ব্র্যান্ড পিরিয়ড চলছে, তারপরও বেশি ইলিশ পাওয়ার লোভেই বেআইনিভাবে জল সীমান্তে লংঘন করে আমাদের ট্রলার বাংলাদেশের সরকারি নিষেধাজ্ঞা ভেঙেছে ।মৎস্যজীবীদের বিরুদ্ধে আইনত ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে বলে খবর পেয়েছি”।
মৎস্যজীবী সংগঠন সূত্রে আরও জানা গেছে ১১ তারিখ সকালে দুটি ট্রলার নামখানা ঘাট থেকে গভীর সমুদ্রে মাছ ধরতে রওনা দিয়েছিল। ১৪ তারিখে ইলিশ ধরতে আচমকায় গভীর সমুদ্রে ভারতীয় জলসীমা পেরিয়ে পটুয়াখালী সংলগ্ন গভীর সমুদ্রে ঢুকে পড়লে বাংলাদেশের নৌবাহিনী দুই ট্রলারকে আটক করে ।

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য আজই যোগাযোগ করুন:- ৯১৫৩০৪৩৩৮০/৯৭৩২৫২০৩৮২