
বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- ভুয়ো জাতিগত শংসাপত্র দেখিয়ে ডায়মন্ডহারবার মেডিকেল কলেজে ভর্তি হওয়ার অভিযোগ উঠল এক পড়ুয়ার বিরুদ্ধে।এই ঘটনা নজরে আসতেই পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির পক্ষ থেকে ডায়মণ্ডহারবার মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপালের কাছে ডেপুটেশন দিয়ে ভুয়ো শংসাপত্রে ভর্তি বাতিল করার দাবি জানানো হয়।
পরমব্রত রায় নিট পরীক্ষা দিয়ে ২০২৩ সালে ডায়মন্ডল মেডিকেল কলেজে এমবিবিএস কোর্সে ভর্তি হন। এদিকে পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির অভিযোগ ওই পড়ুয়া পরমব্রত রায় প্রথমে দক্ষিণ ২৪ পরগনা বারইপুর সাব ডিভিশন অফিস থেকে ২০২৩ সালের ৫ই জুন তারিখে তপশিলি জাতি শংসাপত্র সংগ্রহ করেন। ঠিক তার ২ মাস পর আগস্ট মাসের ১১ তারিখে উত্তর ২৪ পরগনার বসিরহাট সাব ডিভিশন অফিস থেকে তফসিলি উপজাতি শংসাপত্র সংগ্রহ করে। আরো অভিযোগ এই শংসাপত্রের ভিত্তিতেই ডায়মণ্ডহারবার মেডিকেল কলেজে ভর্তি হন। পশ্চিমবঙ্গ আদিবাসী কল্যাণ সমিতির আর অভিযোগ ২০২৪ সালের জুলাই মাসের ৯ তারিখে ব্যাকওয়ার্ড ক্লাস ওয়েলফেয়ার বিভাগের ওয়েবসাইটে দেখা যায় ওর (পরমব্রত রায়) তফসিলি উপজাতি শংসাপত্র টি বাতিল করা হয়েছে। তবুও তিনি এখনো মেডিকেল কলেজে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছেন বলে অভিযোগ । এর পরিপ্রেক্ষিতে আদিবাসী সমিতির পক্ষ থেকে ডায়মণ্ডহারবার মেডিকেল কলেজে ডেপুটেশন দিয়ে দাবী করা হয়, অভিযোগটি সত্য প্রমাণিত হয়েছে। জাতীগত শংসাপত্র বাতিল করা হয়েছে। সেই পরিপ্রেক্ষিতে ভর্তি অবিলমে বাতিল করতে হবে বলে দাবী করেন । তবে এ বিষয়ে ডায়মণ্ডহারবার মেডিকেল কলেজের প্রিন্সিপাল ডাক্তার উৎপল দাঁ জানান, ‘অভিযোগ আসার পরে বিষয়টি স্বাস্থ্য ভবন ও ওয়েলফেয়ার সোসাইটি কে জানানো হয়েছে। যেমন নির্দেশ আসবে তেমন ব্যবস্থা নেওয়া হবে। তবে এখনো পর্যন্ত কোনো নির্দিষ্ট সিদ্ধান্ত বা পদক্ষেপের কথা জানানো হয়নি’। পাশাপাশি যার বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠেছে ওই পড়ুয়াকে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমের তরফ থেকে ফোন করা হলেও তিনি ফোন ধরেনি।

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:-৯১৫৩০৪৩৩৮০