
সংগৃহীত ছবি
বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- অনেক চেষ্টার পর শেষমেষ কোলকাতার লেদার কমপ্লেক্স এলাকার ম্যানহোল থেকে উদ্ধার হল ৩সাফাই কর্মী দেহ। মৃত শ্রমিকরা হল হাসি শেখ, ফারজেম শেখ এবং সুমন সর্দার। এদের মধ্যে দুজনের বাড়ি মুর্শিদাবাদের লালগোলা থানা এলাকায় এবং সুমনের বাড়ি উত্তর চব্বিশ পরগনায় বলে জানা গেছে। আলিমুদ্দিন শেখ নামে এক মুর্শিদাবাদের ঠিকাদার এই ম্যানহোলটি পরিষ্কার করার দায়িত্ব নিয়েছিল বলে জানা গিয়েছে।
ঘটনার খবর পেয়েই ঘটনাস্থলে আসেন কোলকাতার মেয়র ফিরাদ হাকিম। তিনি বলেন, এই ঘটনার জন্য যে বা যাঁরা দায়ী তিনি শাস্তি পাবেন। কেএমডিএ এই ঘটনা তদন্ত করবে বলে জানান তিনি। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘কেন তিনজন শ্রমিককে ম্যানহোলে নামতে হলো। সেই কারণ খতিয়ে দেখা হবে’। মৃত শ্রমিকদের পরিবারের কিছু ১০ লক্ষ টাকা করে আর্থিক সাহায্যে দেওয়া হবে বলে এদিন তিনি ঘোষণা করেন।
স্থানের সূত্রে জানা গিয়েছে, রবিবার সকাল ন’টা নাগাদ লেদার কমপ্লেক্সের ভিতরে সেক্টর ৬ ইন্ডাস্ট্রিয়াল ডেভেলপমেন্ট অথরিটির অধীনে একটি ম্যানওয়েল এর মধ্যে সাফাইয়ের কাজ চলছিল মূলত চামড়া, টেনারির বর্জ্য পরিষ্কার করার জন্য প্রথমে এক সাফাই কর্মীকে নামানো হয়।
কিন্তু তিনি বেশ কিছুক্ষণ হয়ে গেলেও না ওঠায় অন্য দুইজন কর্মী ম্যানহোলে নামে। ম্যানহোলের ভেতরেই তাদের মৃত্যু হয়। পরে ডুবুরি নামিয়ে তিনজনের দেহ উদ্ধার করা হয়। স্থানীয়রা বলছেন, ম্যানহোল গভীর ছিল। বিভিন্ন রাসায়নিকের দুর্গন্ধ পাওয়া যাচ্ছিল। তবে পুলিশ পুরো বিষয়টি খতিয়ে দেখছেন। পাশাপাশি গোটা ঘটনা তদন্ত করবে কেএমডিএ তা জানিয়েছেন ফিরাদ হাকিম। প্রসঙ্গত কোলকাতা সহ দেশের ৬শহরের ম্যানহোলে শ্রমিক নামিয়ে কাজ করানো নিষিদ্ধ করেছে সুপ্রিম কোর্ট। তবে সেই আইনকে কার্যতো বুড়ো আঙ্গুল দেখি এবং আইন অমান্য করে কিভাবে এই শ্রমিকদেরকে ম্যানহোলে নামানো হলো সে বিষয় নিয়ে বিভিন্ন মহলের জোর চর্চা শুরু হয়েছে।

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:- ৯১৫৩০৪৩৩৮০