শাসনের দাদপুরে নাবালিকাকে ধর্ষণের অভিযোগ !এলাকায় উত্তেজনা,গ্রেপ্তার অভিযুক্ত

রাজ্য

বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- উত্তর ২৪ পরগনা জেলার শাসন থানা এলাকার দাদপুরে  এক নবম শ্রেনীর ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ প্রতিবেশী যুবকের বিরুদ্ধে। শাসন থানায় ইতিমধ্যে অভিযোগ দায়ের করেন নির্যাতিতার পরিবার। গ্রেপ্তার অভিযুক্ত। অভিযুক্তের বাড়ির সামনে চলে ব্যাপক উত্তেজনা।পরে পুলিশ লাঠি উঁচিয়ে ছত্রভঙ্গ করে বিক্ষুব্ধ মানুষজনকে ।অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, শাসন থানা এলাকার দাদপুরে, বাড়িতে একা থাকার সময় এক নাবালিকা ও তাঁর নাবালক ভাই বাড়ির মধ্যে কাজ করছিল ।সে সময় নাবালিকার প্রতিবেশী তাকে জোর করে ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে বলে অভিযোগ। পরে নাবালিকার মাকে পুরো বিষয়টি জানায় ওই নাবালিক, তাকে চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নিয়ে যান। আরো জানায় গিয়েছে, বাবা সে সময় কৃষি খেতে কাজ করছিলেন ।মা হাসপাতালে গিয়েছিলেন।  বাড়িতে কেউ ছিলনা। সেই সুযোগে নাবালিকাকে  যৌন নির্যাতন করে অভিযুক্তরা বলে অভিযোগ।
ঘটনার খবর জানাজানি হতে নাবালিকার পরিবারকে আর্থিক ক্ষতিপুরণ দিয়ে পুরো বিষয়টিকে মিটিয়ে ফেলার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল বলে অভিযো। আর তাতে রাজি না হলে,প্রাণে মারার হুমকিও দেয় অভিযুক্তের  পরিবারের লোকজন। শেষমেষ নির্যাতিতা নাবালিকা মা থানার দ্বারস্থ হন। কেন তারা পুলিশের দ্বারস্থ হলেন সেই নিয়ে  নি্যাতিতার পরিবারে উপর চলে ও হুমকি শাসানি। নাবালিকার পরিবার আরও অভিযোগ,    অভিযুক্ত ব্যক্তির বাড়ি থেকে নাবালিকার পরিবারকে ইট পাটকেল ছোড়া হয় বলে অভিযোগ। এ পড়েই গ্রামবাসীরা পাল্টা অভিযুক্তের বাড়িতে ইট –পাথর ছোঁড়ে  এলাকার মানুষজন। স্থানীয়দের দাবি অভিযুক্ত দুই ভাইকে গ্রেফতার করতে হবে। ঘটনার খবর পেয়েই এই ঘটনা স্থলে আসে  পুলিশ। পুলিশের গাড়ির সামনে বিক্ষোভ শুরু করেন স্থানীয় বিক্ষুব্ধ মানুষজন। পরে শাসন থানা ও দেগঙ্গার এসডি পিওর নেতৃত্বে বিশাল পুলিশ বাহিনী ঘটনাস্থলে বিক্ষুব্ধদের  গ্রামবাসীদের হঠিয়ে দেন। বর্তমানে নাবালিকার অবস্থা আশঙ্কা জনক হওয়ায় বারাসাত হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। এলাকায় অভিযুক্তর কঠোর শাস্তির দাবিতে বিক্ষোভ দেখায়  মানুষজন। এলাকায় উত্তেজনা থাকায় পুলিশ টহল চলছে। 

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:- ৯১৫৩০৪৩৩৮০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *