
বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- সাপের ছোবল খেয়ে অসুস্থকে বাঁচাতে দু লিটার দুধ, আড়াইশো গ্রাম আদা খাওয়ার নিদান দিল ওঝা। ক্রমেই আক্রান্তের শারীরিক অবস্থার অবনতি হওয়ায় তাঁকে নিয়ে হাসপাতালে ছুটলেন পরিবারের লোকজন। শেষমেষ চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টায় প্রাণে বাঁচলেন বাসন্তীর যুবক কার্তিক সর্দার।
জানা গিয়েছে ,গত বৃহস্পতিবার ধান খেতে কীটনাশক দিতে গিয়েছিলেন উত্তর মোকাম বেড়িয়া গ্রামের বাসিন্দা কার্তিক সরদার। হঠাৎই তার পায়ে ছোবল মারে সাপ। সাপটি দেখতে না পেলেও তার লেজটি দেখতে পেয়েছিলেন তিনি।তাড়াতাড়ি বাড়িতে এসে পরিবারের লোকজনদের এই বিষয়ে জানানোর পরই স্থানীয় এক ওঝার কাছে নিয়ে যান তারা। আর সেখানে গিয়ে ঘন্টার পর ঘন্টা ধরে চলল ওঝার কেরামতি ।-ঝাড়ফুকের সঙ্গে ওঝার নির্দেশ মতো গাছ-গাছড়ার শিকড় খাওয়ান পাশাপাশি দু লিটার ও আড়াইশো গ্রাম আদা খাওয়ানো হল । ততক্ষণে অনেকটা সময় চলে গিয়েছে, সাপে কাটা কার্তিক সর্দারের শারীরিক অবস্থা ক্রমশ ও আশঙ্কা জনক হয়ে পড়েছে। হাল বেহাল বুঝে তাঁকে ছেড়ে দেয়। এরপর ওঝার পরামর্শ মত কার্তিককে বাড়িতে নিয়ে এসে দুধ খাওয়ানো হয় কিন্তু বিষ আর নামছে না।ইতিমধ্যে প্রায় ৬ঘন্টা সময় কেটে গিয়েছে, সময় যত যাচ্ছে ক্রমশ কার্তিকের শারীরিক পরিস্থিতি কোন অবনতি হচ্ছে দেখেই পরিবারের লোকজন ক্যানিং হাসপাতালে নিয়ে যান।রাতেই ক্যানিং হাসপাতালে চিকিৎসকদের আপ্রাণ চেষ্টায় সঙ্কট জনক অবস্থায় থাকা আক্রান্ত যুবক ধীরে ধীরে সুস্থ হয়ে ওঠেন।
ক্যানিং মহকুমা হাসপাতালের সর্প বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ডা: সমেন্দ্রনাথ রায় সংবাদ মাধ্যমে জানান,নতুন ঘটনার আবির্ভাব হয়েছে, সাপের কামড় দিলে দুধ খাওয়ান হচ্ছে।যেটা একেবারেই বুজরুকি পাশাপাশি পরিমাণ মত আদা খাওয়ানো হচ্ছে, এগুলো বন্ধ করা উচিত। সাপে কামড় দিলে গাছ-গাছড়া, দুধ কিংবা আদা খাওয়ালে সারবে না। বরং মারা যাবে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি। প্রয়োজন এভিএস। সাপ ছোবল দিলে সরাসরি নিকটবর্তী হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া জরুরী। সে ক্ষেত্রে রোগী ১০০ ভাগ সুস্থ হয়ে বাড়িতে ফিরবেন।
এদিকে দিন যত যাচ্ছে ক্রমেই সুস্থ হতে শুরু করেছে বাসন্তীর কার্তিক সর্দার ।মরণাপন্ন ঘরের ছেলে ঘরে ফিরিয়েছে চিকিৎসকদের চেষ্টায়,আনন্দে সর্দার পরিবার থেকে পাড়া প্রতিবেশীরাও।

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:- ৯১৫৩০৪৩৩৮০