সামশেরনগরে বনবিবি মন্দিরে পুজো দিলেন সুন্দরবন দপ্তরের মন্ত্রী বঙ্কিম চন্দ্র হাজরা

রাজ্য

হিমাদ্রিশেখর মণ্ডল, বাংলার চাণক্য নিউজ হিঙ্গলগঞ্জ:-    নবরূপে নির্মিত হিঙ্গলগঞ্জের শামশেরনগরের বনবিবির মন্দির পরিদর্শন করলেন রাজ্যের সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা। তাঁর সঙ্গে ছিলেন স্থানীয় বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল, বিডিও দেবদাস গঙ্গোপাধ্যায়,  পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি শহীদুল্লাহ গাজী, পঞ্চায়েত প্রধান শ্যামল মণ্ডল- সহ বিশিষ্টজনেরা।
     প্রশাসন স্থানীয় সূত্রে জানা গিয়েছে, দু’বছর আগে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সামশেরনগরের বনবিবির থানে সপরিবারে পুজো দিতে আসেন। তখন সেখানে মন্দির বলে কিছু ছিল না। দরমার উপরে মাটি লেপা বেড়া আর একটা থান ছিল। মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছা প্রকাশ করেন মন্দিরটি পাকা করে দেওয়ার। সামশেরনগরের কুড়েখালি নদীর ধারে মন্দির নির্মিত ও চারপাশের আঙ্গিনা সুসজ্জিত করার পরিকল্পনা নেয় পূর্ত দপ্তর ও উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ। তৈরি হয় সুসজ্জিত টাইলস, মার্বেল মোড়া মন্দির। সুন্দরবনের জঙ্গল লাগোয়া ওই মন্দির ভাল করে সংস্কারের জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অর্থ মঞ্জুর করেন। পূর্ত দপ্তর মন্দির তৈরি করে। উত্তর ২৪ পরগনা জেলা পরিষদ মন্দিরের রাস্তা তৈরি করে দেয়। আগেই বনবিবি মন্দিরের ভার্চুয়াল উদ্বোধন করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। ২২ ডিসেম্বর রবিবার সেই মন্দির পরিদর্শনে আসেন সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিম হাজরা।  বনবিবি মন্দিরে পুজোও দেন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা।
     এ প্রসঙ্গে বঙ্কিম হাজরা বলেন, “মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কাজ করতে ভালোবাসেন। বনবিবি মন্দির করা তার বড় উদাহরণ। কলকাতা থেকে এক গাড়িতে যাতে সুন্দরবনে পৌঁছানো যায় সেই লক্ষ্যে আপাতত আমরা নেবুখালি এবং ভান্ডারখালি পল্টন সেতু করার পরিকল্পনা নিয়েছি। সেতু করার ক্ষেত্রে রাজ্যের সুন্দরবন ও পরিবহন দপ্তরের থেকে আর্থিক সাহায্য পাওয়া যাবে।” মন্ত্রী আরও বলেন, “সুন্দরবন এলাকার যেখানে রাস্তা হয়নি কিংবা রাস্তা খারাপ তা মেরামত করা হবে। যেখানে প্রয়োজন সেখানে স্কুল বাড়ির উন্নয়ন ঘটানো হবে।”
      হিঙ্গলগঞ্জের বিধায়ক দেবেশ মণ্ডল বলেন, “সুন্দরবন উন্নয়ন মন্ত্রী বঙ্কিমচন্দ্র হাজরা সাহেবখালি হাই স্কুলের প্রাক্তনীদের একটি অনুষ্ঠানে এসেছিলেন। সেখান থেকে মন্ত্রী বনবিবি মন্দিরে যান এবং পুজো দেন। এলাকার মানুষের সঙ্গে কথা বলেন। এলাকার মানুষের বিভিন্ন সমস্যার সমাধানের প্রতিশ্রুতি দেন।”
        সামশেরনগরের বনবিবি মন্দিরের পুরোহিত সহদেব মণ্ডল বলেন, ‘জঙ্গলে মাছ কাঁকড়া মধু সংগ্রহের যাওয়ার আগে এখানকার মানুষ বনবিবির থানে পূজো দিয়ে তবেই জঙ্গলের উদ্দেশে পা বাড়ান।’ এই বনবিবি মন্দির নির্মাণের জন্য মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ধন্যবাদ জানিয়ে সহদেব বলেন, ‘দিদির সদিচ্ছা না থাকলে এই মন্দির কখনোই তৈরি করা কখনোই সম্ভব হতো না।’
       এলাকার বাসিন্দা সবুজ মণ্ডল বলেন, ‘এই বনবিবির মন্দিরটি সংস্কারের ফলে এলাকার মানুষ ভীষণ উপকৃত হবেন। এই বনবিবি মন্দির ঘিরে এলাকার বাসিন্দাদের পর্যটন ব্যবসা খুব ভালো হবে। নানা জায়গা থেকে এই বনবিবি মন্দির দেখতে বহু মানুষ আসেন।’
      শতাব্দী প্রাচীন হিঙ্গলগঞ্জ ব্লকের সামশেরনগরের কুড়েখালি নদীর ধারে এই বনবিবি মন্দির। এই বনবিবি মন্দিরটি সুন্দরবনে ঘুরতে আসা পর্যটকদের কাছে একটি দর্শনীয় স্থান। প্রশাসনের পক্ষ থেকে এখানে ভক্তদের বসার জায়গা, আলো এবং ফ্যান এর ব্যবস্থা করা হয়েছে।

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:- ৯১৫৩০৪৩৩৮০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *