লুট-চুরি করে ওড়িশা পালিয়েও শেষ রক্ষা হল না, ডায়মণ্ডহারবার জেলা পুলিশের জালে ৩ অভিযুক্ত,উদ্ধার প্রচুর সোনার গয়না ও নগদ

রাজ্য

তোতন দাস, বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- উস্তির এক বেসরকারি ব্যাংক গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে ডাকাতির ঘটনার তদন্ত নেমেছিল ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার বিশেষ অপারেশন গ্রুপ। এই উস্তি থানা ও বিশেষ অপারেশন গ্রুপ গত পাঁচ মাস কার্যত হন্যে হয়ে ঘুরছিল ওই গ্যাং সন্ধানে । শেষমেষ ওড়িশা থেকে গ্রেফতার করল তিন অভিযুক্তকে। উদ্ধার হয়েছে  লুটের নগদ টাকা । ধৃতদের  জিজ্ঞাসাবাদ করেই তদন্তকারীরা জানতে পারেন সোনারপুরের এক সোনার দোকানের চুরি যাওয়া প্রচুর গয়নার হদিস।
জানা গেছে,চলতি বছরে ফেব্রুয়ারি মাস নাগাদ উস্তি থানা এলাকার শংকরপুর বাস স্ট্যান্ডের কাছেই  এক বেসরকারি ব্যাংকের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রে  লুটের ঘটনা ঘটেছিল। সেখান থেকে লুট হয়েছিল প্রায় ৬০ হাজার টাকা। এর ১মাস  পর  জানা যায় সুন্দরবন পুলিশ জেলার ঢোলা থানা এলাকায় ওই একই কায়দায় ব্যাংকের গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্র  লুটে ঘটনা ঘটে। এই ঘটনার তদন্ত নেমে উস্তি থানাকে সঙ্গে নিয়ে  ডায়মন্ড হারবার পুলিশ  জেলার বিশেষ অপারেশন টিম  ওই গ্যাং এর সন্ধান শুরু করেন। পাশাপাশি তদন্তকারীরা এই গ্যাং এর গতিবিধি ট্র্যাক করতে শুরু করেন। শেষমেষ গোপন সূত্রে খবর পেয়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার বিশেষ অপারেশন টিম ওড়িশার কোরপুট জেলার থেকে অভিযুক্তকে গ্রেফতার করেন। এরা হলেন  মন্দিরবাজারের মুজাহিদ  মোল্লা, বাসন্তী থানা এলাকার  ফারহান মন্ডল এবং বজবজের মহম্মদ হাবিব। আরো জানা গেছে,উড়িষ্যা থেকে এদেরকে ট্রানজিট রিমান্ডে আনার সময় রাতেই জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে অভিযুক্তদের কাছ থেকে তদন্তকারীরা আরও জানতে পারেন,মাস দেড়েক আগে  বারুইপুর পুলিশ জেলার সোনারপুরের এক সোনার দোকানে চুরি যাওয়া বিপুল পরিমান গয়নার হদিশ। তবে চুরি যাওয়া জিনিসপত্র উস্থি থানা এলাকার সংগ্রামপুরের এক বাড়িতে রেখে গিয়েছিল। পরে  পুলিশ সেই বাড়িতে হানা দিয়ে উদ্ধার করে  বিপুর পরিমাণ সোনার গয়না পাশাপাশি উদ্ধার হয় ব্যাংক গ্রাহক পরিষেবা কেন্দ্রের লুটের প্রায় ৪০হাজার টাকা ও।

ধৃতরা বর্তমানে জেল হেফাজতে রয়েছে। অভিযুক্তদের খুব তাড়াতাড়ি ‘সনাক্তকরণ প্যারেড’ করা হবে বলে পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে । এ বিষয়ে ডায়মন্ড হারবার পুলিশ জেলার অতিরিক্ত পুলিশ সুপার জোনাল মিতুন কুমার দে বলেন, পাঁচ মাস আগে উস্তি থানার অধীনে  এক বেসরকারি ব্যাংকের সি এস পি তে চুরির ঘটনা ঘটে। ঘটনার তদন্তে নামেন এসডিপিও সাকিবআহমেদ নেতৃত্বে বিশেষ অপারেশন গ্রুপও উস্তি থানার পুলিশ। তদন্তে জানা যায় অভিযুক্তরা তিনজন।এরা দক্ষিণ ২৪ পরগনার  বাসিন্দা। ঘটনার পর তারা উড়িষ্যায় পালিয়ে গেছে। এরপরই তদন্তকারী ওই গ্যাং এর  উপরে নজর রাখতে শুরু করেছিল। পুলিশের নজর থেকে বাঁচতে দুষ্কৃতীরা তাদের লোকেশন এবং মোবাইলে সিম কার্ড পরিবর্তন করছিল। তবে শেষমেষ  ওড়িশা থেকে তাদেরকে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেপ্তারের পর পুলিশ জানতে পারে কেবল উস্তি নয় সোনারপুরের একটি সোনার দোকান  চুরি করেছিল এই গ্যাং ।চুরির করা সমস্ত  সোনা টাকা মজতু করে রেখেছিল উস্তির সংগ্রামপুরের কাছে একটি বাড়িতে ।সেখানে  হানা দিয়ে পুলিশ উদ্ধার করে প্রায় ৫০ লক্ষ টাকার সোনার গয়না ও নগদ চল্লিশ হাজার টাকা।

তদন্তকারী সূত্রে জানা গেছে,ধৃতদের দ্রুত টি আই প্যারেড করা হবে।পাশাপাশি নিজেদের হেপাজতে নিয়ে ধৃত টানা জিজ্ঞাসাবাদ চালিয়ে এই গ্যাং এর সঙ্গে আর কারা যুক্ত রয়েছে কিনা সেই শিকড়ের সন্ধান পেতে চাইছেন অভিজ্ঞ তদন্তকারীরা।

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:- ৯১৫৩০৪৩৩৮০

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *