
বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:-একটি নির্দিষ্ট ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন আরো আট প্রসূতি বলে অভিযোগ । এই ঘটনায় কেন্দ্র করে ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়ায় বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে। এই ঘটনার পর রাজ্যের মুখ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা স্বপন সরেনের নির্দেশে দশ সদস্যের কমিটি গঠন করা হয়েছে। তিন চিকিৎসকের একটি মেডিকেল বোর্ড তৈরি করে ২৪ ঘন্টার নজরদারির ব্যবস্থা শুরু হয়েছে। সেই সঙ্গে রোগীদের দেওয়া ইঞ্জেকশন, স্যালাইন ও রোগীদের লালার নমুনা পরীক্ষা জন্য ল্যাবরেটরিতে পাঠানো হয়েছে।
জানা গেছে,গত শুক্রবার দক্ষিণ দিনাজপুরের বালুরঘাট জেলা হাসপাতালে প্রসূতিদের ইঞ্জেকশন দেওয়ার পর এক প্রসূতির মৃত্যু ও তার পরে অসুস্থ হয়ে পড়েন ৮ জন প্রসূতি। এই ঘটনার পরে নড়ে চড়ে বসে স্বাস্থ্য দপ্তর । তবে জানা গেছে আর্ট প্রসূতি বর্তমান অবস্থা স্থিতিশীল ।এখনো তাঁরা সি সি ইউতে চিকিৎসাধীন রয়েছেন। যদিও প্রসূতিদের পরিবারের সদস্যদের অভিযোগ এক ধরনের এন্টোবায়োটিক ইঞ্জেকশন দেওয়ার পরই তাদের শরীরে জটিলতা শুরু হয়। প্রসূতিদের পরিজনদের আরো অভিযোগ ইঞ্জেকশন দেওয়ার কিছুক্ষণের মধ্যেই প্রসূতিদের শুরু হয় কাঁপুনি, শ্বাসকষ্ট এবং রক্তচাপ ওঠানামা। তারা আশঙ্কা প্রকাশ করেছেন,নির্দিষ্ট ইঞ্জেকশনটির গুণগত মানের সমস্যা অথবা সেটি মেয়াদ উত্তীর্ণ। তবে তাদের এই সমস্ত অভিযোগ জেলা স্বাস্থ্য দপ্তর অস্বীকার করেছেন। তবে নিরাপত্তার কত মাথায় রেখেই গোটা জেলাতে আপাতত ওই ইঞ্জেকশন ব্যবহার বন্ধের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।এ বিষয়ে জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাক্তার সুদীপ দাস সংবাদমাধ্যমে জানিয়েছেন, বর্তমানে সকলে স্থিতিশীল। মেডিকেল বোর্ড নিয়মিত পর্যবেক্ষণ করছেন। তদন্ত কমিটির নমুনা সংগ্রহ করে কাজ শুরু করেছেন। রোগীদের মধ্যে সংক্রমণ পাওয়া গিয়েছে, তাই একটি অপারেশন থিয়েটার বন্ধ রেখে জীবাণুমুক্ত করার কাজ চলছে। যদিও এই ঘটনার চরম উদ্বেগে প্রসূতি পরিবারের সদস্যরা। পাশাপাশি এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে রাজনৈতিক তর্জা তুঙ্গে। শনিবার হাসপাতালে বিক্ষোভ দেখায় জেলা বিজেপি নেতৃত্ব এবং হাসপাতালে পরিষেবা ও গাফিলতি নিয়েও সরব হতে দেখা যায় সিপিএমকেও।
তবে ওই নির্দিষ্ট ইঞ্জেকশন ও রোগীদের লালা এছাড়া অন্যান্য নমুনার পরীক্ষায় মূলত ঠিক কি কারনে এই ঘটনা ঘটেছে তা জানা যাবে বলে মনে করছেন অভিজ্ঞ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকমহল।

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:- ৯১৫৩০৪৩৩৮০