
বাংলার চাণক্য নিউজ ডেস্ক:- আর হাতেগোনা কয়েকটা দিন। তারপরই গঙ্গাসাগর মেলা। তার আগেই মঙ্গলবার নবান্নে রাজ্যের বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকদের নিয়ে বৈঠক করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। মেলার আয়োজন সবদিকের প্রস্তুতি কেমন চলছে সে বিষয় গুলি জানলেন তিনি ।সেই সঙ্গে মেলার প্রস্তুতির জন্য আর কি কি করতে হবে তাও তিনি বলে দিলেন ।
রাজ্যের মোট ১৭ টি দপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকদের সঙ্গে এদিন বৈঠক করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই বৈঠক শেষে তিনি সংবাদমাধ্যমকে জানান, এবার ২২৫০ টি সরকারি বাস, ২৫০ টি বেসরকারি বাস, নয়টি বার্জ ৩২ টি ভেসেল, ৬১ লঞ্চ, ২১ টি জেটি ব্যবহার করা হবে। তিনি এও জানান সমস্ত যানে জিপিএস ট্র্যাকিং এর সুবিধা থাকবে পাশাপাশি স্যাটেলাইট ট্র্যাকিংয়ের ব্যবস্থা থাকবে যা করা হবে ইসরোর সাহায্যে। যাতে ইন্টারনেট না থাকলে ও সমস্যা না হয়। সেই সঙ্গে গঙ্গাসাগর মেলায় মেগা কন্ট্রোল রুম থেকে সবকিছু মনিটর করা হবে।
এছাড়া সাধারণ মানুষের নিরাপত্তার কথা ভেবে সঠিক ট্রাফিক ব্যবস্থার জন্য মোট ১৬ টি বাফার জোন করা হবে বলে এদিন জানান মুখ্যমন্ত্রী। এসব গাড়ির গতি নিয়ন্ত্রণের জন্য গাড়ির স্পিড ক্যালিব্রেটর বসানো হচ্ছে পাশাপাশি অন্যবারের মতো সাগরের বাস গুলিতে ‘সাগর বন্ধু’ থাকবে। মেলা এলাকার ১৫০ টি সি টিভি বসানো হচ্ছে। অন্যদিকে গঙ্গাসাগর নিয়ে বেশি সতর্ক তা অবলম্বন করার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সঙ্গে তিনি বলেন,গঙ্গাসাগর অঞ্চলের কিছু স্পর্শকাতর এলাকা রয়েছে। বেশি ওয়াচ টাওয়ারের ব্যবস্থা করে সেই এলাকা গুলিতে বেশি খেয়াল রাখতে হবে যাতে কোন অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে।
অন্যদিকে বাংলাদেশে ৯৫ জন ভারতীয় মৎসজীবী আটকে রয়েছে তারা খুব তাড়াতাড়ি ফিরে আসবেন বলেও আশ্বাস দেন মুখ্যমন্ত্রী। পাশাপাশি মুড়ি সেতুর জন্য ডিপিআর করা হয়েছে বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। কাজ শেষ করতে চার বছর সময় লাগবে এবং সরকারিভাবে ১৫০০ কোটি টাকা খরচ হবে বলে জানান তিনি। সেতুর কাজ হয়ে গেলে তীর্থযাত্রী থেকে শুরু করে স্থানীয়দের সারা বছর সুবিধা হবে এই সেতু পাঁচ কিমি লম্বা এবং চার লাইনের। সেতুর নাম হবে ‘গঙ্গাসাগর সেতু’ বলে জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

ADVT

খবর এবং বিজ্ঞাপনের জন্য যোগাযোগ করুন:- ৯১৫৩০৪৩৩৮০